Raju Jha Murder Case: শক্তিগড়ে মাফিয়া খুনে নয়া মোড়, মিলল দিল্লি যোগের প্রমাণ

Raju Jha Murder Case: ঘটনার চার দিন পেরিয়ে যাচ্ছে, এখনও পর্যন্ত একজনেরও টিকি ছুঁতে পারেনি পুলিশ। ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তদন্তে এগোচ্ছে পুলিশ।

Raju Jha Murder Case: শক্তিগড়ে মাফিয়া খুনে নয়া মোড়, মিলল দিল্লি যোগের প্রমাণ
আততায়ীদের ব্যবহৃত নীল রঙা গাড়ি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 05, 2023 | 1:03 PM

শক্তিগড়: অভিযুক্তরা এখনও পুলিশের নাগালের বাইরে। কিন্তু পুলিশের হাতে এসেছে বেশ চাঞ্চল্যকর তথ্য। সেটাকে এই তদন্তের বড় ‘ব্রেক থ্রু’ বলে মনে করা হচ্ছে। যে নীল রঙা গাড়িটি করে আততায়ীরা এসেছিল, জানা যাচ্ছে, সেটি দিল্লির। প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে মনে করা হয়েছিল, সেটা কলকাতার বাসিন্দা এক মহিলার গাড়ি। তাঁর ছেলের বক্তব্য অনুযায়ী, তিনি সেই গাড়ি বিক্রি করে দিয়েছিলেন। কিন্তু এই তথ্য তদন্তের একেবারে প্রাথমিক পর্যায়ে ছিল। এবারে উঠে আসছে একেবারে অন্য তথ্য। মঙ্গলবার শক্তিগড়ে তদন্তে গিয়েছিল ফরেনসিক টিম। নীল ও সাদা গাড়ি অর্থাৎ আব্দুল লতিফের যে গাড়িতে রাজু ঝা ছিলেন- দুটো থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, ফরেনসিক তদন্তে বেশ কয়েকটি ‘ক্লু’ মিলেছে। গাড়িটির ইঞ্জিন ও চেসিস নম্বরের শেষ কয়েকটি সংখ্যা মুছে ফেলা হয়েছিল খুনে ব্যবহারের আগে। ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা সেই নম্বর উদ্ধার করে জানতে পেরেছেন গাড়িটি আসলে দিল্লির।

গাড়ির আসল মালিকের সন্ধান শুরু করেছে পুলিশ। পরিবহন দফতরের মাধ্যমে সেই গাড়ির মালিকের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ। গত শনিবার রাত ৮টা নাগাদ দ শক্তিগড় থেকে কলকাতামুখী ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে একটি ল্য়াঙচার দোকানের সামনে এসে দাঁড়ায় সাদা রঙা গাড়িটি। ওই গাড়ির সামনের বাঁ দিকের আসনে ছিলেন রাজু ঝা। ওই গাড়িরই পিছনে এসে দাঁড়ায় নীল রঙা গাড়িটি। ওই গাড়ি থেকে কয়েক জন নেমে এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করেন। পরে ওই গাড়িই রাস্তার ধারে ফেলে রেখে পালিয়ে যান আততায়ীরা। তল্লাশিতে ওই গাড়ি থেকে মেলে আগ্নেয়াস্ত্র, কার্তুজ এবং একাধিক নম্বর প্লেট।

তদন্তকারীদের হাতে যে যে তথ্য এসেছে, তার ভিত্তিতে মোটামুটি তাঁরা নিশ্চিত, ঘটনার দিন ভোরে ঝাড়খণ্ড থেকে গাড়িটি এসেছিল। ঝাড়খণ্ডেরই কোনও গোপন ডেরা থেকে আততায়ীদের তুলে বাংলায় ঢোকে। ঝাড়খণ্ড যাওয়া ও ফিরে আসার সময়ে নীল গাড়িটিতে যে নম্বর প্লেট লাগান ছিল, তা হল ডব্লিউবি ০৬ পি ৩৪৫৪। আপাতত ঝাড়খণ্ডের বিভিন্ন এলাকা-রাস্তার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।

তবে ঘটনার চার দিন পেরিয়ে যাচ্ছে, এখনও পর্যন্ত একজনেরও টিকি ছুঁতে পারেনি পুলিশ। ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তদন্তে এগোচ্ছে পুলিশ।