Memari RPF: মোবাইল কুড়োতে থামিয়েছেন আস্ত ট্রেন! তারপরই মহা ফ্যাসাদে যাত্রী
Emergency Chain of Train: আরপিএফ সূত্রে খবর, অনিরুদ্ধ গুছাইত নামে ওই ব্যক্তি গুসকরা থেকে ডাউন ইন্টারসিটি এক্সপ্রেসে উঠেছিলেন। হাওড়ার দিকে যাচ্ছিলেন। সঙ্গে ছিল দামি ফোন। জানালার ধারে বসে সেই ফোন ঘাঁটছিলেন তিনি। এরপর নিজের অসাবধানতাতেই মেমারি স্টেশনের কাছে হঠাৎ তাঁর হাত ফসকে যায় দামি মোবাইলটি।
মেমারি: ট্রেনে জানালার ধারে বসে ছিলেন। নিজের অসাবধানতায় চলন্ত ট্রেনে হাত থেকে মোবাইল পড়ে যায় বাইরে। সেই মোবাইল ফিরে পেতে সঙ্গে সঙ্গে ট্রেনের আপদকালীন চেন টেনেছিলেন অনিরুদ্ধ গুছাইত নামে ওই ট্রেনযাত্রী। বিপদ সংকেত পেতেই ট্রেনেও থেমে যায়। সঙ্গে সঙ্গে মোবাইল কুড়োতে ছোটেন তিনি। কিন্তু এরপরই পড়ে যান সমস্যায়। অকারণে ট্রেনের আপদকালীন চেন টানায় আটক করা হয় ওই ব্যক্তিকে। যদিও পরবর্তীতে ব্যক্তিগত বন্ডে ছাড়াও পেয়ে যান তিনি। শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে বর্ধমান-হাওড়া মেইন শাখার মেমারি স্টেশনে।
আরপিএফ সূত্রে খবর, অনিরুদ্ধ গুছাইত নামে ওই ব্যক্তি গুসকরা থেকে ডাউন ইন্টারসিটি এক্সপ্রেসে উঠেছিলেন। হাওড়ার দিকে যাচ্ছিলেন। সঙ্গে ছিল দামি ফোন। জানালার ধারে বসে সেই ফোন ঘাঁটছিলেন তিনি। এরপর নিজের অসাবধানতাতেই মেমারি স্টেশনের কাছে হঠাৎ তাঁর হাত ফসকে যায় দামি মোবাইলটি। সাধের মোবাইল ফিরে পেতে সঙ্গে সঙ্গে আপদকালীন চেন টেনে আস্ত ট্রেন থামিয়ে ফেলেন তিনি। কী হয়েছে দেখতে সঙ্গে সঙ্গে ছুটে আসেন কর্তব্যরত আরপিএফ কর্মীরা। অকারণে ট্রেন থামানো হয়েছে দেখে ওই যাত্রীকে আটক করেন আরপিএফ কর্মীরা। পরে অবশ্য ব্যক্তিগত বন্ডে ছেড়ে দেওয়া হয় তাঁকে। এদিকে ঘটনার জেরে ডাউন ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস প্রায় মিনিট কুড়ি আটকে ছিল মেমারি স্টেশনের কাছে।
জানা যাচ্ছে, ওই অনিরুদ্ধে গুছাইত নামে ওই ব্যক্তি পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ার বাসিন্দা। গুসকরায় তাঁর শ্বশুরবাড়ি। সেখান থেকে হাওড়ায় যাচ্ছিলেন এক অসুস্থ ব্যক্তিকে দেখতে। সেই সময়েই ঘটে যায় এই ঘটনা। উল্লেখ্য, সাম্প্রতিককালে অকারণে আপদকালীন চেন টেনে ট্রেন থামানোর প্রবণতা বেড়েছে। এই প্রবণতা বন্ধ করতে ইতিমধ্যেই কড়া পদক্ষেপ করছে পূর্ব রেল। চলতি বছরের এপ্রিল থেকে আরপিএফ দু’হাজারেরও বেশি যাত্রীকে গ্রেফতার করেছে।