AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Siddiqullah Chowdhury on TMC : TMC কর্মীদের মুখে ‘তোলাবাজ-চিটিংবাজ’ শুনেই বেজায় চটলেন মন্ত্রী, বললেন, ‘দরকারে দল ছেড়ে দেব’

Siddiqullah Chowdhury: তবে শুধু দলের একাংশ কর্মী নয়, একই সঙ্গে পুলিশের বিরুদ্ধেও একরাশ ক্ষোভ প্রকাশ করেন সিদ্দিকুল্লা। তাঁর অভিযোগ, যেখানে রাজ্যের মন্ত্রী সুরক্ষিত নয়, সেখানে সাধারণ মানুষ কীভাবে সুরক্ষিত থাকবে?

Siddiqullah Chowdhury on TMC : TMC কর্মীদের মুখে 'তোলাবাজ-চিটিংবাজ' শুনেই বেজায় চটলেন মন্ত্রী, বললেন, 'দরকারে দল ছেড়ে দেব'
সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী, রাজ্যের মন্ত্রী Image Credit: Tv9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Jul 03, 2025 | 11:14 PM
Share

মন্তেশ্বর: ‘তোলাবাজ…চিটিংবাজ…’-এর মতো শব্দ শুনেছেন। এমনকী দেখেছেন কালো পতাকা। তাও আবার নিজের দলের কর্মীরাই তাঁকে ফেলেছেন অস্বস্তিতে। সেই ঘটনায় বেজায় চটেছেন রাজ্যের গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। রাগে-অভিমানে দল ছাড়ারও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। বৃহস্পতিবার ভাঙা গাড়ি নিয়ে মন্তেশ্বর থেকে অভিযোগ জানাতে সরাসরি পুলিশ সুপারের অফিসে পৌঁছন মন্ত্রী।

এ দিন,পুলিশ সুপারের অফিস থেকে বেরিয়ে সংবাদ মাধ্যমের সামনে একরাশ ক্ষোভ উগড়ে দেন তিনি। জানান, তাঁকে কালো পতাকা দেখানোর পাশাপাশি তাঁর উপর আক্রমণ হয়েছে। এমনকী গাড়ির কাচ ভাঙা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন। মন্ত্রী নিজেও আহত হয়েছে বলে জানান। মন্তেশ্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি আহমেদ হোসেনের নেতৃত্বে হামলা বলে অভিযোগ করেন তিনি। রাজ্যের মন্ত্রী বলেন, “রাজ্যের কোনও ক্যাবিনেট মন্ত্রীর সঙ্গে এমন হয়নি। আমি তৃণমূলের কোনও ক্ষতি করিনি। আজ যে জামায়েত হয়েছিল তা পুলিশ চাইলেই সরিয়ে দিতে পারত। আইসির সামনেই ইট ফেলেছে। আমার আঘাত লেগেছে। এমনকী চালককেও অ্যাটাক করেছে।”

তবে শুধু দলের একাংশ কর্মী নয়, একই সঙ্গে পুলিশের বিরুদ্ধেও একরাশ ক্ষোভ প্রকাশ করেন সিদ্দিকুল্লা। তাঁর অভিযোগ, যেখানে রাজ্যের মন্ত্রী সুরক্ষিত নয়, সেখানে সাধারণ মানুষ কীভাবে সুরক্ষিত থাকবে? তাঁকে পরিকল্পনা করে খুনের চক্রান্ত করা হয়েছিল বলে অভিযোগ করেন মন্ত্রী। গোটা বিষয়টি তিনি দলীয় উর্ধতন কর্তৃপক্ষ জানাবেন। তিনি বলেন, “এটা কিন্তু আমি মানতে পারব না। প্রয়োজনে দল ছেড়ে দেব আজ বলে যাচ্ছি। এই দলের পরোয়া নেই। নৈরাজ্যকে দমন করতে চাই।”

এ দিন সকাল দশটা নাগাদ মন্তেশ্বর এর মালডাঙায় পৌঁছন সিদ্দিকুল্লা। মন্ত্রীকে দেখেই কালো পতাকা হাতে নিয়ে এগিয়ে আসেন গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান রফিকুল ইসলাম শেখ। তুমুল চিৎকার শুরু করেন তাঁরা। কালো পতাকা দেখাতে থাকেন। রফিকুল ইসলাম শেখ বলেন, “আমাদের এখানে তোলাবাজ-ধান্দাবাজ-চিটিংবাজ মন্ত্রী আছেন। উনি তোলা ছাড়া কিছুই বোঝেন না। চার বছর অতিক্রান্ত হয়ে পাঁচ বছর হল, আমরা ভেবেছি একজন মন্ত্রী পেয়েছি। মন্তেশ্বরবাসীর সুরাহা হবে। সবার চাল-গমের প্রয়োজন হয় না। কিছু মানুষের সার্টিফিকেটেরও দরকার পড়ে। কিন্তু তা থেকে মানুষ বঞ্চিত হয়েছেন। আজ উনি কিছু তোলাবাজকে সঙ্গে নিয়ে এসেছেন পরিযায়ী শ্রমিকের মতো এখানে। চার বছর পর এখানে দালালি করতে এসেছে। আমরা দলীয়ভাবেও ওঁকে পাশে পাইনি, সাধারণ মানুষ হয়েও সাহায্য পাইনি।” এই ঘটনার পরই আজ থানায় হাজির হন মন্ত্রী।