Burdwan: খুনের চেষ্টায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পরই বুকে ব্যথা শুরু তৃণমূল নেত্রীর, জেলে যাওয়ার আগেই হাসপাতালে ভর্তি আরও নেতা
TMC: ২০১৭ সালের একটি মামলায় খুনের চেষ্টা, মারধর সহ একাধিক ধারায় মামলা হয় কাকলি গুপ্ত তা সহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে। সোমবার বর্ধমানের ফাস্ট ট্র্যাক সেকেণ্ড কোর্টের বিচারক অরবিন্দ মিশ্র ২ জনকে জামিন দিলেও কাকলি গুপ্ত তা সহ ১৩ জনকে দোষী সাব্যস্ত করেন।

বর্ধমান: আদালত দোষী সাব্যস্ত করার পর সংশোধনাগারে নিয়ে যাওয়ার পথে অসুস্থ তৃণমূল নেতা। বর্ধমান ১ নম্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি তথা বর্ধমান উন্নয়ন সংস্থার চেয়ারপার্সন কাকলি গুপ্তা, ব্লকের যুব সভাপতি মানস ভট্টাচার্য, পঞ্চায়েত প্রধান কার্তিক বাগ এবং রায়ান ১ নম্বর অঞ্চলের সভাপতি সেখ জামালকে সোমবার নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের জরুরি বিভাগে। হঠাৎ বুকে তীব্র ব্যথা ও ইসিজি রির্পোটে সমস্যা থাকায় কাকলি গুপ্ত তা-কে নিয়ে যাওয়া হয় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের উইংস অনাময় সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে।
২০১৭ সালের একটি মামলায় খুনের চেষ্টা, মারধর সহ একাধিক ধারায় মামলা হয় কাকলি গুপ্ত তা সহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে। সোমবার বর্ধমানের ফাস্ট ট্র্যাক সেকেণ্ড কোর্টের বিচারক অরবিন্দ মিশ্র ২ জনকে জামিন দিলেও কাকলি গুপ্ত তা সহ ১৩ জনকে দোষী সাব্যস্ত করেন। তাঁদের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়।
এরপরই কাকলি গুপ্ত তা সহ ১৩ জনকে বর্ধমান কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে নিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করে পুলিশ। যাওয়ার পথে গাড়িতেই অসুস্থ বোধ করেন কাকলি গুপ্ত তা সহ বাকি তিন জন। এরপরই তড়িঘড়ি তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।
বর্ধমান মেডিক্যালের অধ্যক্ষ মৌসুমী বন্দ্যোপাধ্যায় এই বিষয়ে জানিয়েছেন, বুকে ব্যথা নিয়ে ভর্তি হয়েছেন কাকলি। ইসিজি রিপোর্টেও কিছু সমস্যা ধরা পড়েছে। তাঁকে অনাময়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে পরীক্ষা-নিরিক্ষা করার জন্য। বাকি তিনজনকেও ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে।
২০১৭ সালের ৫ সেপ্টেম্বর পূর্ব বর্ধমানের নাড়িগ্রাম দাসপাড়ায় তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সেই ঘটনায় আহত হন তৎকালীন তৃণমূল কংগ্রেসেরই পঞ্চায়েত সদস্য জীবন পাল। তাঁর স্ত্রী সন্ধ্যারানি পাল ৬ সেপ্টেম্বর বর্ধমান থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ ছিল, শাসকদলের ক্ষমতাসীন লোকজন জীবন পালের বাবাকে বেধড়ক মারধর করে। তাঁর চোখ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এই মামলা আদালতে বিচারাধীন ছিল। সেই মামলাতেই দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।





