Trinamool councillor : তোলা না দেওয়ায় ব্যবসায়ীকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ, কাঠগড়ায় বর্ধমানের তৃণমূল কাউন্সিলর
Trinamool councillor : এ ঘটনায় ইতিমধ্যেই তৃণমূল কাউন্সিলর নুরুল আলম ওরফে সাহেব-সহ ৪ জনের বিরুদ্ধে বর্ধমান থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন আক্রান্ত ব্যবসায়ী আয়ুব খান।
বর্ধমান : তোলাবাজির অভিযোগ উঠল বর্ধমান পৌরসভার (Bardhaman Municipality) ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে। অভিযোগ করেছেন শহরেরই এক ব্যবসায়ী। অভিযোগ, দোকান চালাতে গেলে দিতে হবে তোলা। এমনটাই নাকি দাবি করেছেন কাউন্সিলর। দাবি মতো ২৫ হাজার টাকা না দেওয়ায় এক ব্যবসায়ীকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে বর্ধমান পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নুরুল আলম ওরফে সাহেবের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা শহরে। এ ঘটনায় ইতিমধ্যেই তৃণমূল কাউন্সিলর নুরুল আলম ওরফে সাহেব-সহ ৪ জনের বিরুদ্ধে বর্ধমান থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন আক্রান্ত ব্যবসায়ী আয়ুব খান।
বর্ধমান শহরের সাধনপুর আলুডাঙা মাঠপাড়া এলাকায় থাকেন আয়ুব খান। মঙ্গলবার আয়ুব খান বর্ধমান থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে জানিয়েছেন, গত সোমবার বেলা ১১টা নাগাদ বাজেপ্রতাপপুর রেলওয়ে ফ্লাইওভারের সংলগ্ন মসজিদের কাছে তাঁর ভ্রাম্যমাণ মাংসের দোকানে কয়েকজন ছেলে তাঁর উপর হামলা করে। যাঁদের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ রয়েছে তাঁদের সকলকেই তিনি চেনেন বলেও জানিয়েছেন। ভবানীপ্রসাদ গুপ্ত ওরফে বাঙ্কার, সেখ মানা এবং মহম্মদ ইকবাল ওরফে চন্দনরা এই হামলা চালায় বলে জানিয়েছেন তিনি৷ আয়ুবের অভিযোগ, এরা তৃণমূল কাউন্সিলর নুরুল আলমের অনুগামী।
ব্যবসায়ীর আরও অভিযোগ, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি তাঁর কাছে ২৫ হাজার টাকা চায় ওরা। কিন্তু তা দিতে না চাওয়ার সেই রাগেই সোমবার তাঁর দোকানে হামলা চালানো হয়। তাঁকে মারধরও করা হয়। আয়ুব খান আরও জানিয়েছেন, নুরুল আলমের বাড়িতে গিয়ে দশ হাজার টাকা দিতে গেলে তিনি তা নিতে অস্বীকার করেন। তিনি নাকি বলেছিলেন, ক্লাবের পুজোর জন্য ২৫ হাজার টাকাই দিতে হবে। না হলে ওখানে ব্যবসা করা যাবে না। তাদের চাহিদা মত টাকা না দেওয়ায় প্রাণনাশের হুমকিও দেওয়া হয় বলে দাবি আয়ুব খান। এই বিষয়ে নুরুল আলমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি টেলিফোনে জানান, কাজের সূত্রে এই মূহূর্তে তিনি বাইরে আছেন। তিনি বলেন, “আয়ুব খান যেখানে মাংসের ব্যবসা করেন, সেখানে একটি প্রাথমিক স্কুল রয়েছে। তাই এলাকার মানুষজন তাঁকে প্রকাশ্যে মাংস কেটে ঝুলিয়ে না রেখে আড়াল রেখে ব্যবসা করার জন্য বলেছিলেন। শিশু মনে যাতে এর কোনও প্রভাব না পড়ে সে জন্যই এটা বলা হয়েছিল। এই নিয়ে দলের ছেলেরা তাঁকে বোঝাতে যায়। কিন্তু, মারধরের কোন ঘটনা ঘটেনি।” এই বিষয়ে জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস বলেন, “কেউ অভিযোগ করতেই পারেন। সেটা পুলিশ প্রশাসন তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবে। তবে অভিযোগ করলেই সে দোষী নয়।”