Birth Certificate Problem: জন্মের শংসাপত্রে বানান ভুল, সংশোধন করতে জেলা হাসপাতালে তিন বছর ধরে ঘুরছে পরিবার
Tamluk: তমলুক থানার উদয়চকের বাসিন্দা সুবল অধিকারীর স্ত্রী জয়শ্রী খাঁড়া অধিকারী ২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর তমলুক জেলা হাসপাতালে এক শিশু পুত্রের জন্ম দেন।
পূর্ব মেদিনীপুর: তমলুকে জেলা হাসপাতাল (Tamluk District Hospital)। অথচ একটা নাম সংশোধন করতে তিন বছর ধরে ঘুরতে হচ্ছে পরিবারকে। অভিযোগ, রাজ্যের পাশাপাশি জেলা হাসপাতালে কর্মীদের খামখেয়ালিপনার মাশুল গুনছেন সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষজন।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলা হাসপাতাল। জেলার লোকজনের কাছে অবশ্য এর পরিচিতি তমলুক জেলা হাসপাতাল নামেই। সেখানেই অভিযোগ, তিন বছর ধরে সন্তানের জন্মের শংসাপত্রে থাকা ভুল বানান ঠিক করাতে নাকানিচোবানি খাচ্ছে পরিবার।
জানা গিয়েছে, তমলুক থানার উদয়চকের বাসিন্দা সুবল অধিকারীর স্ত্রী জয়শ্রী খাঁড়া অধিকারী ২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর তমলুক জেলা হাসপাতালে এক শিশু পুত্রের জন্ম দেন। এরপর ৩১ অক্টোবর হাসপাতালের তরফে শিশুর জন্মের শংসাপত্র দেওয়া হয়। কিন্তু সেখানে প্রত্যেকেরই নাম পদবীর বানানে ভুল আসে। এরপরই সুবল অধিকারী ওই শংসাপত্র নিয়ে নিয়মিত হাজির হচ্ছেন হাসপাতালে। কিন্তু ২০২১ সালে এসেও তা সংশোধন হল না।
হাসপাতালের তরফে দেওয়া তৎকালীন জন্ম শংসাপত্রে মা ও বাবার নামের পদবীর বানান ভুল থাকার জন্য শিশুর নামের পদবীর বানান ভুল আসে। সেটিকে সংশোধন করার জন্য প্রথমে ফার্স্ট ক্লাস ম্যাজিস্ট্রেট তমলুক কোর্টে হলফনামা দেওয়া হয়। পরে জেলা এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের থেকে সংশোধনী করে হাসপাতালে আনলেও দিনের পর দিন ঘোরানো হয় পরিবারকে বলে অভিযোগ। যদিও হাসপাতালের অ্যাসিসটেন্ট সুপারিনটেনডেন্ট বাপ্পা দাস বলেন, “কেউ তিন বছর ধরে ঘুরছেন বলে আমার জানা নেই। এই বিষয়ে যা বলার সুপার বলবেন। আমার বলার কোনও এক্তিয়ার নেই।”
সুবল অধিকারীর কথায়, “আমার ছেলের জন্মের শংসাপত্রে নামটা ভুল রয়েছে। সেটা সংশোধন করার জন্য জেলা হাসপাতালে আসি। ওরা বলে এখানে কিছু ভুল রয়েছে। আদালতের থেকে ঠিক করে না আনলে তা সংশোধন করা যাবে না। এ ভাবে দু’বার আদালতের দ্বারস্থও হই। অথচ আবারও আমাকে ফিরিয়ে দিয়েছে। এ ভাবে বার বার ঘোরাচ্ছে। তিন বছর হতে চলল।”
যদিও এ বিষয়ে তমলুক হাসপাতালের অ্যাসিসটেন্ট সুপারিনটেনডেন্ট বাপ্পা দাসকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি প্রথমে কথা বলতেই রাজি হননি। এরপর বাপ্পা দাস বলেন, “এ বিষয়ে আমি কোনও কথাই বলতে পারি না। যা বলার সুপার বলবেন। উনি আমাদের এইচওডি। তবে যিনি অভিযোগ করছেন, তিনি আগে যা আছে তা জমা দিন। তার পর এ নিয়ে কথা বলব। আর কেউ তিন বছর ধরে ঘুরছে এমন তথ্যও আমাদের কাছে নেই।”
সুবল অধিকারীর হয়ে যিনি আদালতে বিষয়টি দেখেছেন সেই আইনজীবী বলেন, “সবথেকে নিন্দনীয় বিষয় এটি। আদালতের হলফনামার পরও কোনও ব্যক্তিকে যদি কেউ এ ভাবে ঘুরিয়ে যায় তা হলে সেটাকে হাসপাতাল বলা যায় না। স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় এ ধরনের হেনস্তা কখনও চলতে পারে না।”
আরও পড়ুন: Dengue Situation in Kolkata: ১১৬ নম্বর ওয়ার্ডে বাড়ছে ডেঙ্গু, সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে পুরসভার বিশেষ দল