Dilip Ghosh: ‘বিছানা’-‘উচ্ছিষ্ট’-‘কার্বলিক অ্যাসিড’- দিলীপের যে সব শব্দবাণে ছারখার পদ্মবন

Dilip Ghosh: বুধবার দিলীপ ঘোষ জগন্নাথ মন্দির দর্শন করার পর থেকেই প্রতিক্রিয়া দিতে শুরু করেছেন বিজেপির তাবড় নেতারা। চলছে সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখালেখি। চলছে বিস্ফোরক মন্তব্য়ের ঝড়। তাঁদের জবাব দিতে গিয়ে কোন কোন শব্দচয়ন করলেন দিলীপ ঘোষ?

Dilip Ghosh: বিছানা-উচ্ছিষ্ট-কার্বলিক অ্যাসিড- দিলীপের যে সব শব্দবাণে ছারখার পদ্মবন
দিলীপ ঘোষImage Credit source: Facebook

| Edited By: Sharath S

May 16, 2025 | 4:39 PM

কলকাতা: বছর দশেকের কিছু বেশি সময় ধরে বাংলার রাজনীতিতে সক্রিয়ভাবে কাজ করছেন তিনি। শাসক দলকে আক্রমণ করতে কোনও বাধ মানেন না তিনি। কার্যত মুখে যা আসে, তাই বলে থাকেন তিনি। তাঁর চাঁচাছোলা মন্তব্য শুনতেই অভ্যস্ত বাংলার মানুষ। তবে জগন্নাথ মন্দির দর্শনের পর ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই নিজের দলের নেতাদের যেভাবে নিশানা করলেন তিনি, সেই নজির বোধহয় আগে ছিল না।

বুধবার দিঘার জগন্নাথ মন্দির দর্শন করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে বসে কথাও বলেন দিলীপ ঘোষ। এরপর রাজ্যের একাধিক বিজেপি নেতা দিলীপের সেই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছেন। কেউ বলেছেন ‘নির্লজ্জ’, কেউ বলেছেন ‘ভোগী’। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে মুখ খুললেন দিলীপ ঘোষ।

যে সব শব্দের ফুলঝুরি ছোটালেন তিনি

চরিত্র- “চরিত্র নিয়ে কারা কথা বলছে, যাদের দিনের জীবন এক, রাতের জীবন এক। যাদের ৪টে বউ, ৮টা গার্লফ্রেন্ড, তারা চরিত্র নিয়ে কথা বলছে।” কাকে নিশানা করলেন, তা স্পষ্ট নয়। তবে, দলের নেতারা যখন তাঁর চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন, তখন বুঝতে অসুবিধা হয় না যে দলের কাউকেই নিশানা করলেন দিলীপ ঘোষ।

কালীঘাটের উচ্ছিষ্ট- একসময় আরএসএস এর সঙ্ঘ প্রচারক ছিলেন দিলীপ ঘোষ। তারপর বিজেপিতে কাজ শুরু। মমতার সঙ্গে তাঁর সাক্ষাতের পর যখন কেউ কেই দিলীপের ফুলবদলের জল্পনা উস্কে দিচ্ছেন, তখন দিলীপের মুখে শোনা গেল ‘কালীঘাটের উচ্ছিষ্ট’। দিলীপ বললেন, ‘এতদিন যারা কালীঘাটের উচ্ছিষ্ট খেয়েছেন, তাঁরা আজ সতী হয়েছেন।’ নিশানায় কি তবে দলবদল করা নেতারা?

বিছানা- যাঁরা তাঁকে আক্রমণ করছেন, তাঁদের সঙ্গে চরিত্রের তফাৎ বোঝাতে দিলীপ ঘোষ বিছানা শব্দের ব্যবহার করলেন। সোজাসুজি দিলীপ বললেন, “যারা বিছানা পাল্টায় তারা আমার চরিত্রের দোষ দিচ্ছে। যারা রাতের জীবনে একেকদিন, এক এক রকম, তারা দিলীপ ঘোষকে ভোগী বলছে।”

করে খাওয়া- দিলীপ ঘোষ বিজেপি নেতাদের একাংশকে ‘দালাল’ বলে কটাক্ষ করে বলেছেন, “দালালরা যবে থেকে দলে এসেছে, দল একটার পর একটা নির্বাচনে হারছে।” শুধু তাই নয়, সেই সব নেতাদের উদ্দেশে দিলীপ ঘোষ বলেছেন, “কিছু নেতা করে খেতে এসেছেন। বিজেপি করে খাওয়ার জায়গা নয়।”

অপসংস্কৃতি- কয়েকজন নেতা নাকি দলে অপসংস্কৃতি এনেছেন। এমনটাই মত প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের। তিনি বলেন, আগে দলে ভয় ছিল না, সন্দেহ ছিল না, বিভেদ ছিল না। যেদিন থেকে দলে অপসংস্কৃতি এসেছে, সেদিন থেকে পার্টি পিছোচ্ছে।

কার্বলিক অ্যাসিড- দিলীপ ঘোষের জগন্নাথ মন্দির দর্শনটা নাকি ‘কার্বলিক অ্যাসিড’। আর সেটা দিতেই নাকি গর্ত থেকে বেরিয়ে পড়েছে সাপ। কারা এই সাপ? নাম না করেই সেই সব বিজেপি নেতাদের বোঝালেন, যাঁরা বুধবার রাত থেকে দিলীপ ঘোষকে নিয়ে প্রকাশ্যে নানা ধরনের মন্তব্য করছেন।

দলের গ্রাফ- দিলীপ ঘোষ রাজ্য সভাপতি থাকাকালীন ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় আসন বাড়িয়েছিল বিজেপি। তাঁর আমলেই ৭৭ জন বিধায়কও পায় বঙ্গ বিজেপি। সে কথা দিলীপ আগেও বারবার মনে করিয়ে দিয়েছেন। তাই তাঁকে যাঁরা খোঁচা দিচ্ছেন, তাঁদের ‘দলের গ্রাফ’ বোঝালেন দিলীপ। বললেন, “২০২১ এর পর থেকে দলের গ্রাফ নামছে। আমরা জিততে ভুলে গিয়েছি। আমার লড়াই জারি আছে। আপনারা ঠিক করুন কার হয়ে লড়াই করবেন।”

শুক্রবার মাধ্যমিকের রেজাল্ট। সবার আগে রেজাল্ট জানতে এখনই নথিভুক্ত করে ফেলুন এই ফর্মে-