Ashok Dinda: ‘কয়েকজন ধরাকে সরা জ্ঞান করছেন…আমিই সব..ছড়ি ঘোরাব এমন চলবে না…’, BJP-র অন্দরে কাদের কথা ফাঁস করলেন দিন্দা?
BJP MLA Ashok Dinda: প্রসঙ্গত, শনিবার তমলুকে সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের একটি সংবর্ধনা সভা ছিল। সেখান থেকেই দিন্দা দলের একাংশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে বলেন, "অনেকেই আছেন জেলা সভাপতিকে সম্মান করেন না। বিধায়ককে সম্মান করেন না। পদ পেয়ে নিজেদের বড় বলে মনে করেন।" বিধায়কের হুঁশিয়ারি, "এরা জানে না আজ আছি, কাল নেই।"
তমলুক: সংগঠন মজবুত করতে হবে। নিচু তলার সংগঠন ভেঙে পড়েছে। এই নিয়ে আগেই মুখ খুলেছিলেন বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ থেকে শুরু করে প্রাক্তন সাংসদ দিলীপ ঘোষ। এবার দলীয় নেতৃত্বের একাংশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন ময়নার বিজেপি বিধায়ক অশোক দিন্দা। প্রকাশ্য সভা থেকেই তাঁকে বলতে শোনা যায়, “এখন অনেকেই ধরাকে সরা জ্ঞান করছেন। বিধায়ককে সম্মান করেন না।”
প্রসঙ্গত, শনিবার তমলুকে সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের একটি সংবর্ধনা সভা ছিল। সেখান থেকেই দিন্দা দলের একাংশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে বলেন, “অনেকেই আছেন জেলা সভাপতিকে সম্মান করেন না। বিধায়ককে সম্মান করেন না। পদ পেয়ে নিজেদের বড় বলে মনে করেন।” বিধায়কের হুঁশিয়ারি, “এরা জানে না আজ আছি, কাল নেই।”
ওই দিনের সভা থেকে কার্যত বিজেপির প্রধানদের ‘ধুয়ে’ দেন বিধায়ক। বলেন, “বিধানসভায় আমরা ছেড়ে কথা বলি না। ছেড়ে কথা বলার লোক নই আমরা। তাই সংগঠনকে মজবুথ করতে হবে। দলীয় নেতৃত্বদের আরও সংগঠিত হতে হবে। কিন্তু জেলা সভাপতি, বিধায়ককে কেউ সম্মান করে না এখানে। সহ সভাপতি থেকে প্রাক্তন রাজ্য সভাপতিক কেউ সম্মান করে না। কেউ পাত্তাই দেয় না।” সঙ্গে এও বলেন, “আমিই সব, যতদিন সাংগঠনিক পদ আছে আমিই লাঠি ঘোরাব। এটা করলে চলবে না। সবাইকে মর্যাদা দিতে হবে। আজ আমি আছি কালকে আমি নেই, তাই যার যা জায়গা তাঁকে সেখানে রাখা উচিত। আমি মনে করি এই জেলা বা এই রাজ্যে তা হচ্ছে না।”
একই সঙ্গে তাঁর জানিয়ে দেন, “আমার কাছে তথ্য প্রমাণ আছে। কয়েকজন বিজেপির প্রধান তাঁরা ধরাকে সরা জ্ঞান করছে। আমি পার্টিকে বলব জেলা সভাপতিকে বলব সেই সব প্রধানকে ডেকে তাঁদেরকে ঠিক করে দেওয়া উচিত।”