পূর্ব মেদিনীপুর: বেশ কয়েকদিন আগেই কেটেছে পুরভোট। অধিকারী গড়ে একচ্ছত্র আধিপত্য স্থাপন করেছে ঘাসফুল শিবির। কাঁথি পুরসভায় ইতিমধ্যে গঠন হয়ে গিয়েছে বোর্ড। তবে এরপরও অশান্তি থামছে না জেলায়। তৃণমূলের আধিপত্য বিস্তারের পর থেকেই বারবার সন্ত্রাসের অভিযোগ উঠেছে শাসকদলের বিরুদ্ধে। এরপর আবারও কাঠগড়ায় শাসকদল। গেরুয়া কার্যালয় দখলের অভিযোগ উঠল ঘাসফুলের বিরুদ্ধে। গোটা ঘটনায় তীব্র উত্তেজনা তমলুক শহরে। এলাকায় পৌঁছায় পুলিশ।
তাম্রলিপ্ত পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের বৈকুণ্ঠ সরোবর এলাকার ঘটনা। সেখানে একটি ওয়ার্ড কমিটির কার্যলয় রয়েছে। ২০১৪ সালে তৎকালীন তৃণমূল কাউন্সিলর জয়া দাস নায়ক উদ্বোধন করেছিলেন এই কার্যলয়টি। এরপর ২০১৫ সালে তিনি পুর নির্বাচনে নির্দল থেকে দাঁড়ান। সেই সময় তৃণমূলের টিকিটে লড়ে জেতেন সুব্রত রায়। যার ফলে ওই ওয়ার্ড কমিটির অফিসটি নিয়ম মাফিক তৃণমূলের দখলে ছিল।
এই বছর পুরভোটে বিজেপির টিকিটে লড়েন জয়া। ওয়ার্ড থেকে তিনি জয়ীও হন। ফলত ওই ওয়ার্ড দখলে চলে যায় বিজেপির। এরপর অভিযোগ, শনিবার গভীর রাতে তৃণমূলের এলাকার নেতৃত্বরা ওয়ার্ড কমিটির অফিসে চুন-কালি লাগিয়ে দেয়। শুধু তাই নয় ওই অফিস থেকে জিনিসপত্র ভাঙচুর করা শুরু করে। ওয়ার্ড কার্যালয় লেখাটি মুছে ফেলা হয় বলেও অভিযোগ। এরপরই বিজেপির তরফে তৃণমূল কর্মীদের ঘিরে বিক্ষোভ শুরু হয়।ঘটনাস্থলে তমলুক থানার পুলিশ বাহিনী হাজির হয়। যার জন্য দীর্ঘক্ষণ উত্তেজনা সৃষ্টি হয় এলাকায়।
শেষ পর্যন্ত পুলিশের উপস্থিতি তে একটি আলোচনার প্রস্তাব দেওয়া হয়।
বস্তুত, পুরভোট বিজেপির হাত ছাড়া হলেও এখনই হাল ছাড়তে নারাজ পদ্মশিবির। সামনেই আসছে পঞ্চায়েত ভোট। তাই পাখির চোখ করে আটঘাট বেঁধে নামতে চলেছে বিজেপি। হোলির দিন জেলার কোলাঘাটে একটি ক্লাবের বসন্ত উৎসব উপলক্ষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে রাজ্য সরকারকে এক হাত নেন সাংসদ। স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের প্রসঙ্গ তুলে বলেন, “রাজ্যের ১৩০ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে। তাই তো রোগী নিয়ে গেলে আগেই নার্সিংহোম জানতে চায় ক্যাশ না কার্ড। কার্ড হলে বেড নেই, সাফ জানিয়ে দেয় কর্তৃপক্ষ।”
আরও পড়ুন: Alipurduar: বন্দুক পরিষ্কার করতে-করতে ট্রিগারে চাপ, ঊনিশ-বিশ হলেই বাবার হাতেই প্রাণ খোয়াত মেয়ে