Alipurduar: বন্দুক পরিষ্কার করতে-করতে ট্রিগারে চাপ, ঊনিশ-বিশ হলেই বাবার হাতেই প্রাণ খোয়াত মেয়ে
Alipurduar: শনিবার সন্ধে নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে আলিপুরদুয়ারের সূর্যনগরে। জখন নাবালিকার নাম শুভাঙ্গী ভট্টাচার্য।
আলিপুরদুয়ার: ঘরের মধ্যে তখনও পড়াশোনা করছিল মেয়ে। একমনে তাকিয়ে বইয়ের দিকে। অন্যদিকে, বাড়ির আর সদস্যরা ব্যস্ত ছিলেন নিজের কাজে। কিন্তু সেই ফাঁকে যে এমন কাণ্ড ঘটে যাবে কেউ বুঝে উঠতে পারেনি। একটুর জন্য বেঁচে গেল নাবালিকা। পাশের ঘরে মেয়েটির বাবা বন্দুক পরিষ্কার করছিলেন। সেই সময় অসাবধান বসত গুলি ছিটকে কান ঘেঁষে বেরিয়ে যায় মেয়েটির। ঘটনায় জখম হলেও ভয়াবহ কিছু তেমন ঘটেনি।
শনিবার সন্ধে নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে আলিপুরদুয়ারের সূর্যনগরে। জখম নাবালিকার নাম শুভাঙ্গী ভট্টাচার্য। সে দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়ে। অন্যদিকে শুভাঙ্গীর বাবা সুজিত ভট্টাচার্য পেশায় গ্যাসের ব্যবসায়ী। শনিবার সন্ধে নাগাদ নিজের ঘরে বসেই পড়াশোনা করছিল শুভাঙ্গি। সুজিতবাবু বাড়ি ফিরে নিজের বন্দুক পরিষ্কার করছিলেন। সেই সময় অসাবধানবসত ট্রিগারে হাত লাগায় একটি গুলি বেরিয়ে যায়।
জানা গিয়েছে, গুলিটি ঘরের ভিতরের দরজা ফুটো হয়ে পাশের ঘরে থাকা শুভাঙ্গীর কান ও মাথা ঘেঁষে বেরিয়ে যায়। সঙ্গে-সঙ্গে ছুটে আসেন সুজিতবাবু। মেয়ে নিয়ে পরিবারের সদস্যরা আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে যায়। সেখানে আইসিইউ-তে ভর্তি করা হয় নাবালিকাকে। শুভাঙ্গী ভট্টাচার্য একটি বেসরকারি স্কুলের ইংরেজী মাধ্যমের ছাত্রী।
গোটা ঘটনায় সুজিত ভট্টাচার্য বলেন, “আমার কাছে লাইসেন্স প্রাপ্ত একটি রিভালভার রয়েছে। ২০০৯ সালে আমি লাইসেন্স পাই। এবার রিভালভারটি পরিষ্কার করছিলাম। সেই সময় হঠাৎ গুলি বেরিয়ে পরে। মেয়ে পাশের ঘরে পড়ছিল। তখনই এই ঘটনা ঘটে। আমি খুব মর্মাহত। মেয়েকে সঙ্গে-সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে এসেছিলাম। এখন সুস্থ আছে।” এই ঘটনা প্রসঙ্গে আলিপুরদুয়ার থানার আইসি অনিন্দ্য ভট্টাচার্য বলেন, ” একটা ঘটনার খবর শুনেছি। রিভলভার পরিষ্কার করতে গিয়ে হঠাৎ করে ঘটনাটি ঘটেছে। তবে নাবালিকার কিছু হয়নি। সে সুস্থ আছে। হাসপাতালে রয়েছে। তবে পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।”
আরও পড়ুন: Suvendu Adhikari: ‘স্বাস্থ্য সাথী কার্ডে বকেয়া ১৩০ কোটি, সেই কারণে রোগী ফিরিয়ে দেয় হাসপাতাল’