
নন্দীগ্রাম: বিধানসভা নির্বাচনের আর কয়েকমাস বাকি। তার আগে বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিধানসভা কেন্দ্র নন্দীগ্রামে গেরুয়া ঝড়। নন্দীগ্রামের শ্রীপুর সমবায় সমিতির নির্বাচনে জিতল বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের কাছে দাঁড়াতেই পারল না রাজ্যের শাসকদল।
নন্দীগ্রাম ১ নম্বর ব্লকের ভেকুটিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার শ্রীপুর সমবায় সমিতি। এই সমিতিতে মোট আসন সংখ্যা ১২। তৃণমূল এবং বিজেপি উভয়েই ১২টি আসনেই মনোনয়ন জমা দিয়েছিল। শুক্রবার এই সমবায় সমিতিতে নির্বাচন হয়।
প্রশাসনের কড়া নিরাপত্তায় এদিন সকাল থেকে শান্তিপূর্ণভাবেই চলে নির্বাচন প্রক্রিয়া। ফলাফল শেষে দেখা যায় ১২টি আসনের সবকটিতেই জয়ী হয়েছে বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের এই জয় নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় শুভেন্দু লেখেন, “নন্দীগ্রাম বিধানসভার নন্দীগ্রাম ১ নম্বর ব্লকের শ্রীপুর কৃষি উন্নয়ন সমবায় সমিতি লিমিটেডের পরিচালক মণ্ডলীর নির্বাচনে ১২টি আসনের সবকটিতেই রাষ্ট্রবাদী প্রার্থীরা জয়লাভ করেছেন। চোরেদের পরাজিত করে রাষ্ট্রবাদীদের নির্বাচিত করার জন্য ভোটদাতা সকল সমবায়ী বন্ধুদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করি।”
নন্দীগ্রামে পরপর বেশ কয়েকটি সমবায় নির্বাচনে জয় পেয়েছে বিজেপি। দিন পাঁচেক আগেই নন্দীগ্রাম-১ ব্লকের কালীচরণপুর কৃষি উন্নয়ন সমিতির সমবায় নির্বাচনে ১২টি আসনের সবকটিই পেয়েছিল বিজেপি। এদিন আবার শ্রীপুর সমবায় সমিতিতে জয় পেয়ে উচ্ছ্বসিত গেরুয়া শিবিরের কর্মী সমর্থকরা। বিজেপি নেতৃত্বের বক্তব্য, নন্দীগ্রামের তৃণমূলের কোনও অস্তিত্ব নেই। সামনের নির্বাচনগুলিতেও হারবে।
নন্দীগ্রাম ১ নম্বর ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি বাপ্পাদিত্য গর্গের অভিযোগ, “এই জয় বিজেপির অবৈধ অর্থ, মদ ও মাংসের জয়। আর এই নির্বাচনে সাধারণ মানুষ মত প্রকাশ করেনি। যারা ওই সমবায়ের সদস্য, তারাই ভোট দিয়েছে। ছাব্বিশের নির্বাচনে এখানে জিতবে তৃণমূল।”