
নন্দীগ্রাম: পূর্ব মেদিনীপুরে আরও একটি সমবায় সমিতিতে জিতল বিজেপি। নন্দীগ্রামের মনুচক সমবায় সমিতিতে ডিরেক্টর বোর্ড গঠন করলেন গেরুয়া শিবির সমর্থিত প্রার্থীরা। বিজেপির দাবি, ছাব্বিশের বিধানসভা নির্বাচনে এখানে বিজেপির জয়ের ধারা অব্যাহত থাকবে। এদিকে, তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে গোপন আঁতাতের অভিযোগ তুলে সরব হয়েছে বামেরা।
নন্দীগ্রাম ১ নম্বর ব্লকের ভেকুটিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার মনুচক সমবায় সমিতি। এই সমবায় সমিতিতে মোট আসন সংখ্যা ১২। গত ৫ অগস্ট এই সমবায় সমিতিতে মনোনয়নের শেষ দিন ছিল। শেষ দিনে তাদের মনোনয়নে বাধা দেওয়ার অভিযোগ তোলে সিপিআইএম। তৃণমূল ও বিজেপি মিলে তাদের বাধা দিয়েছে বলে সিপিএমের অভিযোগ। দুই ফুলের মধ্যে আসন সমঝোতা নিয়েও কটাক্ষ করেন বাম নেতারা।
ওইদিন মোট মনোনয়ন জমা পড়েছিল ১২টি। তাই কোনও নির্বাচন হয়নি। শনিবার আনুষ্ঠানিকভাবে ডিরেক্টর বোর্ড গঠন করলেন বিজেপি অনুগামীরা। বিজেপি সমর্থিতদের পক্ষে ৯ জন এবং তৃণমূল সমর্থিতদের পক্ষে ৩ জন মনোনীত হন। বিজেপির দাবি, তাদের পক্ষে নয় জন রয়েছেন। তাই তারা বোর্ড গঠন করেছে। তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
জয়ের পর বিজেপি কর্মীদের উল্লাস
সমবায় সমিতিতে ডিরেক্টর বোর্ড গঠনের পর বিজেপির নন্দীগ্রাম মণ্ডলের সভাপতি ধনঞ্জয় ঘড়া বলেন, “শুভেন্দু অধিকারীর গড়ে বিজেপির জয়ের ধারা অব্যাহত রইল। এখানে তৃণমূলের পায়ের তলার মাটি সরে গিয়েছে। পরপর সমবায় সমিতির নির্বাচনে হারছে। ২০২৬ সালের নির্বাচনে এখানে ভারতীয় জনতা পার্টির জয়জয়কার হবে। অপেক্ষা করুন।” এদিকে, এই জয়ের জন্য বিজেপি সমর্থিত প্রার্থীদের অভিনন্দন জানান শুভেন্দু অধিকারী।
তবে বিজেপি ও তৃণমূলের বিরুদ্ধে গোপন আঁতাতের অভিযোগ তুলে সরব হয় বামেরা। সিপিএমের নন্দীগ্রাম উত্তর এরিয়া কমিটি সম্পাদক মহাদেব ভুঁইঞা বলেন, “বাইরে লোক দেখানো প্রতিযোগিতা করছে বিজেপি ও তৃণমূল। আর ভেতরে দুই ফুল আঁতাত করছে। তারই প্রমাণ এখানে সমবায় সমিতিতে ডিরেক্টর বোর্ড গঠন। বামেদের মনোনয়ন জমা দিতে দেয়নি দুই দল।”