Teacher on Scam : ‘৫ কোটি নিলে কী আমাদের অবস্থা এরকম থাকত!’ বলছেন চাকরি চুরিতে অভিযুক্ত শিক্ষকের স্ত্রী

Teacher on Scam : পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ভগবানপুর ২ ব্লকের অর্জুননগরের বাসিন্দা দীপক জানা। তিনি কাঁথি দেশপ্রাণ ব্লকের বিচুনিয়া হাইস্কুলের ইংরেজি শিক্ষক। তাঁর বিরুদ্ধেই উঠেছে এই গুরুতর অভিযোগ।

Teacher on Scam : ‘৫ কোটি নিলে কী আমাদের অবস্থা এরকম থাকত!’ বলছেন চাকরি চুরিতে অভিযুক্ত শিক্ষকের স্ত্রী
দীপক জানার স্ত্রী পুতুল জানা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 24, 2023 | 11:14 PM

কাঁথি : জোরকদমে চলছে নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত। ইতিমধ্যেই ইডি-সিবিআইয়ের (ED-CBI) জোড়া তদন্তে গ্রেফতার হয়েছেন ২১ জন। গারদের পিছনে ঠাঁই হয়েছে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee)। এবার নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে নাম জড়িয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরের (Purba Medinipur) এক স্কুল শিক্ষকের। কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছেন কয়েকজন চাকরিপ্রার্থী। কাঁথি দেশপ্রাণ ব্লকের বিচুনিয়া হাইস্কুলে ইংরেজি শিক্ষক দীপক জানার বিরুদ্ধে চাকরি দেওয়ার নামে  ৫ কোটি তোলা তোলার অভিযোগ উঠেছে। কলকাতা হাইকোর্টে বিচারক রাজশেখর মান্থার মামলা এজলাসে চলছে এই মামলার শুনানি। যদিও ওই অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেছেন শিক্ষক-সহ তাঁর পরিবারের সদস্যরা। ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর থেকে তা নিয়ে শোরগোল শুরু হয়েছে কাঁথি শহরে। 

পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ভগবানপুর ২ ব্লকের অর্জুননগরের বাসিন্দা দীপক জানা। তিনি কাঁথি দেশপ্রাণ ব্লকের বিচুনিয়া হাইস্কুলের ইংরেজি শিক্ষক। ভগবানপুরের বাসিন্দা হলেও কাঁথিতে রাখাল স্কুলের সংলগ্ন এলাকায় শ্বশুর বাড়ি রয়েছে তাঁর। দীর্ঘদিন থেকেই শ্বশুরবাড়িতে থাকেন তিনি। অভিযোগ,  ২০১৮ সালের চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা নিয়েছেন দীপক। শুধু প্রাথমিক স্কুলে নয়, একাধিক দফতরে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে টাকা তুলেছেন তিনি।  

দীপক জানা বলেন, “এই সমন্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন। এই অভিযোগের কোনও সত্যতা নেই। কোনও প্রমাণও নেই। টাকার লেনদেনের কোনও বিষয় নেই৷ তদন্ত করলে এই প্রকৃত সত্য উঠে আসবে। যদি দোষ প্রমাণ হয়। তাহলে যা শাস্তি হবে তা মাথা পেতে নেব। তবে আমি বলতে পারি এই সমস্ত অভিযোগ পুরোপুরি ভিত্তিহীন।” সূত্রের খবর, স্থানীয় বাসিন্দা চিরঞ্জিত দাসও চাকরির জন্য টাকা দিয়েছিলেন দীপককে।

তিনি বলেন, “উনি দীর্ঘদিন থেকে শ্বশুরবাড়িতে থাকেন। ফুড সাপ্লাই অফিসে চাকরি পাওয়ার জন্য জায়গা বিক্রি করে ৪ লক্ষ টাকা দীপক জানার হাতে তুলে দিয়েছিলাম। এ নিয়ে থানা, এসডিপিও  সবাইকে জানিয়েছি। কোনও কিছু লাভ হয়নি। আমি শুধু নয়, একাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে চাকরি দেওয়ার নাম করে বহু টাকা তুলেছেন। টাকা চাইতে গেলে আমার নামেও আমার বাবার নামে মানহানির মামলাও করেন।” ঘটনায় বিচুনিয়া হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক বলেন, “বিষয়টি আমার জানা নেই। খবর নিয়ে দেখব। এই প্রথম শুনলাম।” দীপক জানার স্ত্রী পুতুল জানা বলেন, “যদি টাকা নিত তাহলে কী আমাদের পরিবারের এমন অবস্থা থাকত! স্বামী চাকরি দেবে কী করে!  চাকরি কী পড়ে আছে নাকি! আমার স্বামীকে কয়েকজন মিলে ফাঁসিয়ে দিয়েছে।”