২৪ ঘণ্টায় দিঘার সমুদ্রে তলিয়ে গেলেন দুই কিশোর! ছেলের দেহ চিনতেই পারছিলেন না বাবা
দিঘা: দিঘার সমুদ্রে তলিয়ে গিয়েছিলেন যুবক। নিখোঁজ ছিলেন। উদ্ধার হওয়া সেই যুবককে শণাক্ত করল পরিবার। উদ্ধার হওয়ায় যুবকের নাম সৈকত দত্ত। তিনি হাওড়ার বাসিন্দা। রবিবার বিকাল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ দিঘা সি-হক ঘোলাঘাট থেকে নিখোঁজ হয়ে যান বছর সতেরোর সৈকত। এবারে মাধ্যমিক পরীক্ষার ফল বেরোনোর পর দাদা এবং পাড়া ছেলেদের সঙ্গে দিঘা বেড়াতে গিয়েছিলেন। ওল্ড দিঘায় […]
দিঘা: দিঘার সমুদ্রে তলিয়ে গিয়েছিলেন যুবক। নিখোঁজ ছিলেন। উদ্ধার হওয়া সেই যুবককে শণাক্ত করল পরিবার। উদ্ধার হওয়ায় যুবকের নাম সৈকত দত্ত। তিনি হাওড়ার বাসিন্দা।
রবিবার বিকাল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ দিঘা সি-হক ঘোলাঘাট থেকে নিখোঁজ হয়ে যান বছর সতেরোর সৈকত। এবারে মাধ্যমিক পরীক্ষার ফল বেরোনোর পর দাদা এবং পাড়া ছেলেদের সঙ্গে দিঘা বেড়াতে গিয়েছিলেন। ওল্ড দিঘায় স্নান করার সময় সমুদ্রে তলিয়ে যান তিনি।
পরিবারের লোকেরা খোঁজাখুঁজি করার পর শেষ পর্যন্ত না পেয়ে দিঘা মোহানা থানায় মিসিং ডায়েরি করেন। পরিবারের সদস্যদের বয়ান অনুযায়ী, অনেক চেষ্টাতেও খোঁজ পাওয়া যায়নি সৈকতের। দিঘা থানা এবং দিঘা মোহানা থানা পুলিশ যৌথভাবে তল্লাশি অভিযান শুরু করে।
একই ভাবে গত রবিবার বিকেলে নিউ দিঘার ক্ষনিকা ঘাট থেকে নিখোঁজ হন নদিয়ার কোতয়ালি থানার রিতম সাধুখাঁ নামে বছর বাইশের এক যুবক। মৃত অবস্থায় উদয়পুরে উদ্ধার করে তালসারি থানার পুলিশ। খবর দেওয়া হয় তাঁর বাড়িতে। পরে পরিবারের সদস্যরা গিয়ে দেহ শণাক্ত করেন। ওই দিনই ওল্ড দিঘার সি হক ঘাট থেকে সৈকত নিখোঁজ হন।
দিঘায় দিন দিন বাড়ছে সরকারি নির্দেশিকা অবহেলার করার দৃশ্য। তার জেরে বাড়ছে দুর্ঘটনা। কে দায়ী প্রশাসন না পর্যটক, তা নিয়েই বিতর্ক! যদি প্রশাসন কড়া মনোভাব নেয়, তাতে প্রশ্ন ওঠে পর্যটনে আঘাত নিয়ে। আবার কাজ না করলেও ব্যর্থতার দায় চাপানো হয়! বলছেন প্রশাসনের আধিকারিকরাই।
এদিকে, নজরদারি বাড়িয়েও বেপরোয়া পর্যটকদের সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে পুলিশ প্রশাসন। সৈকতের পরিবার খবর দেওয়া হলে, তাঁর পরিবারের সদস্যরা দিঘায় পৌঁছন। প্রথমে অসুবিধা হলেও, পরে ছেলের দেহ শণাক্ত করেন তাঁরা।
প্রথমে সৈকতের বাবা ঘোরের মধ্যে বলতে থাকেন, “এটা আমার ছেলে নয়। আমি চিনতে পারছি না। আমি তো ওকে বারবার যেতে বারণ করেছিলাম। সাবধান করেছি ফোনে কত্ত! শোনেনি। এমন অবস্থা হয়েছে, আমি তো চিনতে পারছি না, এটা আমার ছেলে হতে পারে না।” পরিবারের সদস্যরা তাঁকে বোঝানোর চেষ্টা করেন। প্রথমে ছেলের দেহ শণাক্ত করছিলেন না তিনি। পরে অবশ্য অনেক পরে ছেলের দেহ শণাক্ত করেন। সৈকতের বাড়ির লোক কথা বলার মতো পরিস্থিতিতে নেই।
রামনগর এক নম্বর ব্লকের বিডিও বিষ্ণু পদ রায় বলেন, “এই সব ঘটনায় আমরা চিন্তিত। পর্যটক সুরক্ষার কথা ভেবে পদক্ষেপ নেব। আমরা ইতিমধ্যে দিঘার দুটি থানাকে নিয়ে অভিযান শুরু করেছি। মাইকিং করা হচ্ছে। ব্লকে আপত্কালীন টিম নামানো হয়েছে। ছোট ছোট দল করে সমগ্র উপকূল জুড়ে এই অভিযান চলবে। যারা সরকারি নির্দেশ মানবেন না তাদের ক্ষেত্রে জেল জরিমানা পর্যন্ত শুরু করা হবে।” আরও পড়ুন: ফাঁকা বাড়িতে ঘরে ছেলে ঢোকায় মেয়ে, বাবাকে জানাতে গিয়েই বিপত্তি! ঝলসে গেলেন প্রতিবেশীরা