‘মমতার মায়ের পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করেছিলেন বাজপেয়ী’, মুখ্যমন্ত্রী সাক্ষাতে পাকিস্তান প্রসঙ্গ টানলেন দিলীপ
Dilip Ghosh: ভগবানকে তর্কের উর্ধ্বে রাখা উচিত, এই বার্তা দিয়েই এ দিন দিলীপ ঘোষ বলেন, "আমি কেন মন্দিরে এসেছি অনেকের কষ্ট ! আমি ছোটবেলা থেকেই মন্দিরে যাই। আমি মন্দিরে এসেছি, কে তৈরি করেছে সেটা বড় নয়।"

দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধনে বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার থেকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী-সকলকেই আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তারা কেউই যাননি। তবে নিমন্ত্রণ রক্ষা করেছেন দিলীপ ঘোষ। উদ্বোধনের দিনই সস্ত্রীক হাজির হয়েছেন মন্দিরে। তবে এর পিছনে কোনও রাজনীতি নয়, বরং সৌজন্যই যুক্তি হিসাবে খাড়া করেছেন দিলীপ ঘোষ। যুক্তি দিতে উদাহরণ দিয়েছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী থেকে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর।
ভগবানকে তর্কের উর্ধ্বে রাখা উচিত, এই বার্তা দিয়েই এ দিন দিলীপ ঘোষ বলেন, “আমি কেন মন্দিরে এসেছি অনেকের কষ্ট ! আমি ছোটবেলা থেকেই মন্দিরে যাই। আমি মন্দিরে এসেছি, কে তৈরি করেছে সেটা বড় নয়।”
বিজেপির সংস্কৃতিই যে রাজনৈতিক সৌজন্য-সম্প্রীতি, তা বোঝাতে গিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেছেন, “কালীঘাটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মায়ের পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করেছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী। সেই অটল বিহারী বাজপেয়ীই আবার শান্তির বার্তা নিয়ে ঘোষিত শত্রু পাকিস্তানে গিয়েছিলেন।”
বর্তমানে ফের একবার ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে উত্তপ্ত পরিস্থিতি। অতীতে তারপরও ভারত সৌজন্য দেখিয়েছে পাকিস্তানের সঙ্গে, সে প্রসঙ্গও টেনেছেন রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি। বলেছেন, “প্রধানমন্ত্রী মোদীজি নওয়াজ শরিফের বাড়িতে গিয়েছিলেন। উনি আবার সার্জিকাল স্ট্রাইক করেছেন, এয়ার স্ট্রাইকও করেছেন। আমরা সেই সংস্কৃতিতে বিশ্বাসী।”
আসলে রাজ্যের আমন্ত্রণে দিঘার জগন্নাথ মন্দির যে সৌজন্যের একটি কৌশল মাত্র, তাই-ই বোঝাতে চেয়েছেন দিলীপ ঘোষ। তাঁর কথায়, “দিলীপ ঘোষ মরে যাবে কিন্তু বিজেপি ছাড়বে না। যদি পার্টি মনে করে দিলীপ ঘোষকে লাগবে না, সেটা আলাদা বিষয়।”
শুক্রবার মাধ্যমিকের রেজাল্ট। সবার আগে রেজাল্ট জানতে এখনই নথিভুক্ত করে ফেলুন এই ফর্মে-





