Khejuri Harassment: তমলুকের পর খেজুরি, ৪ বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ ১৫ বছরের নাবালেকর বিরুদ্ধে
Purba Medinipur: ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরিতে। নির্যাতিতা শিশুর পরিবারের অভিযোগ, গত ২২ অক্টোবর বাড়ির পাশেই প্রতিদিনের মতো এক শিক্ষিকার কাছে পড়তে গিয়েছিল সে। অভিযোগ, ঘটনার দিন শিক্ষিকা অসুস্থ থাকায় তাঁর পনেরো বছরের ভাই, যে কি না নবম শ্রেণির পড়ুয়া, সে ওই নাবালিকা সহ তার সহপাঠীদের পড়াতে বসে।পড়ানো শেষ করার পর সমস্ত ছাত্র-ছাত্রীকে বাড়ি পাঠিয়ে দেয় ওই নাবালক।

খেজুরি: তমলুকের পর এবার খেজুরি। এবার নাবালকের হাতে ধর্ষণের শিকার সাড়ে চার বছরের এক শিশু বলে অভিযোগ। অভিযুক্তের বয়স পনেরো বছর। পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছে সে। এখানেই শেষ নয়, এই ঘটনার পর বিজেপি পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান সালিশি সভা করে বিষয়টি তিরিশ হাজার টাকা দিয়ে মামলা রফাদফা করার চেষ্টা করেছেন বলে অভিযোগ। তবে সেই নির্দেশ না মেনে থানায় অভিযোগ দায়ের নির্যাতিতার পরিবারের। পুরো বিষয়টি ভিত্তিহীন অভিযোগ বলে পাল্টা পদ্ম শিবির। উল্লেখ্য, গতকাল তমলুকে স্কুলের ভিতরে শরীর শিক্ষার এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে এই রকম গুরুতর অভিযোগ তোলেন অভিভাবকরা। তাঁদের দাবি, স্কুলের অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীকে শ্লীলতাহানি করেছেন তিনি। সেই ঘটনার একদিনও গেল না এবার এই পূর্ব মেদিনীপুরেই আবারও এক শিশু নিগ্রহের অভিযোগ সামনে এল।
ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরিতে। নির্যাতিতা শিশুর পরিবারের অভিযোগ, গত ২২ অক্টোবর বাড়ির পাশেই প্রতিদিনের মতো এক শিক্ষিকার কাছে পড়তে গিয়েছিল সে। অভিযোগ, ঘটনার দিন শিক্ষিকা অসুস্থ থাকায় তাঁর পনেরো বছরের ভাই, যে কি না নবম শ্রেণির পড়ুয়া, সে ওই নাবালিকা সহ তার সহপাঠীদের পড়াতে বসে।পড়ানো শেষ করার পর সমস্ত ছাত্র-ছাত্রীকে বাড়ি পাঠিয়ে দেয় ওই নাবালক। অভিযোগ,এরপর খাবারের লোভ দেখিয়ে শিশুটিকে আলাদা ডাকে নাবালক। তারপর তাকে ধর্ষণ করে অভিযুক্ত বলে অভিযোগ। পরে বাড়ি ফিরে ওই ছাত্রী অসুস্থ হয়ে যাওয়ায় তাকে তড়িঘড়ি নন্দীগ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
ঘটনার কথা জানাজানি হতেই গ্রাম্য সালিশি ডেকে মিটিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে স্থানীয় বিজেপির প্রধানের বিরুদ্ধে। তবে সেই সবটা উড়িয়ে নির্যাতিতার পরিবার খেজুরি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। ইতিমধ্যে গ্রেফতার হয়েছে অভিযুক্ত নাবালক। যদিও, এ বিষয়ে প্রধানের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি এখনও পর্যন্ত। তবে, কাঁথি সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক পবিত্র দাস ফোনে জানান, “তৃণমূল এই নক্কারজনক ঘটনা নিয়ে মিথ্যা রাজনীতি করার চেষ্টা করছে। ওরা ধর্ষক পার্টি । ওদের কথার উত্তর দেব না। আমাদের প্রধানের নামে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে। যদি কেউ যুক্ত হয় আইন আইনের পথে চলবে। ওরা বা ওদের দলের লোক ধর্ষণের দাম বেধে দেয় আমরা নয়। ৩০ হাজার টাকার কথা সম্পূর্ণ মিথ্যা।”
রবিবার নির্যাতিতার বাড়িতে উপস্থিত হয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের কাঁথি সাংগঠনিক জেলা কমিটির সভাপতি পীযুষ কান্তি পণ্ডা সহ প্রতিনিধিদল। নির্যাতিতার পরিবারের পাশে তাঁরা রয়েছেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।
