হলদিয়ায় বেসরকারি হাসপাতালে শুরু হল করোনা চিকিৎসা পরিষেবা
শিল্পনগরী হলদিয়ায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা জেলার বাকি জায়গাগুলি থেকে বেশি। কিন্তু হলদিয়া মহকুমা হাসপাতালে কেবলমাত্র উনিশটি বেড রয়েছে। সেটাও আবার ফিভার আইসোলেশন সেন্টার। অর্থাৎ, হলদিয়ার করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য যেতে হয় ৭০ কিলোমিটার দূরে পাঁশকুড়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে।
পূর্ব মেদিনীপুর: শিল্পনগরী হলদিয়ায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা জেলার বাকি জায়গাগুলি থেকে বেশি। কিন্তু হলদিয়া মহকুমা হাসপাতালে কেবলমাত্র উনিশটি বেড রয়েছে। সেটাও আবার ফিভার আইসোলেশন সেন্টার। অর্থাৎ, হলদিয়ার করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য যেতে হয় ৭০ কিলোমিটার দূরে পাঁশকুড়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। এই পরিস্থিতিতে হলদিয়াবাসীর জন্য সুখবর দিল বিসি রায় বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এবার করোনা চিকিৎসা হবে হলদিয়াতেও। তমলুকের প্রাক্তন সাংসদ লক্ষ্মণ শেঠের বিসি রায় বেসরকারি হাসপাতাল পেল করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য সরকারি অনুমোদন।
সরকারি সহায়তায় হলদিয়ার বুকে নতুন করে তৈরি হল ২৯০ বেডের করোনা ওয়ার্ড। উন্নত ভেন্টিলেটর, হাইপ্রো অক্সিমিটার ব্যবস্থা-সহ করোনা আক্রান্ত রোগীদের জন্য অত্যাধুনিক চিকিৎসা পরিষেবা মিলবে এই হাসপাতালে। পরিস্থিতি জটিল হওয়া কিংবা সাধারণ কোভিড আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার সুবিধা মিলবে এই বেসরকারি হাসপাতালে। পাশাপাশি কোভিড চিকিৎসার জন্য স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের সুবিধাও নিতে পারবেন হলদিয়ার বিসি রায় হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে। এমনটাই জানাল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: টানা ১০ দিন ভেন্টিলেশনে, করোনাকে হারিয়ে দিল ১৮ দিনের শিশু!
রাজ্য সরকারের সহায়তায় বর্তমানে ২৯০ বেডের করোনা ওয়ার্ড তৈরি করা সম্ভব হলেও খুব অল্পদিনের মধ্যেই এখানে ৪০০-৫০০ বেডের করোনা রোগীর চিকিৎসা করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন তমলুকের প্রাক্তন সাংসদ ও বিসি রায় হাসপাতালের কর্ণধার লক্ষ্মণ শেঠ। হলদিয়ার বুকে করানো হাসপাতালের চাহিদা দীর্ঘদিনের। বিসি রায় হাসপাতাল সরকারি সহায়তায় সেই চাহিদা পূরণ করায় খুশি হলদিয়ার পৌরসভার চেয়ারম্যান-সহ হলদিয়াবাসী।