
কোলাঘাট: গত কয়েকদিনে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে মৃত্যুর ঘটনায় এসআইআর (SIR) আতঙ্কের কথা বলছে তৃণমূল কংগ্রেস। তাদের দাবি, এসআইআর আতঙ্কে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে কারও মৃত্যু হয়েছে। কেউ এসআইআর আতঙ্কে আত্মঘাতী হয়েছেন। এবার তৃণমূলের পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা পরিষদের এক সদস্য যুক্তি দিলেন, এসআইআর আতঙ্ক থেকে কীভাবে মানুষের রোগ হচ্ছে। এর জন্য জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে তীব্র আক্রমণ করলেন তিনি।
গতকাল পূর্ব মেদিনীপুরের কোলাঘাটের বছর তিরাশির এক বৃদ্ধা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। কেসিমন বিবি নামে ওই বৃদ্ধার নাম ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় ছিল না। তাঁর ছেলের নামও ছিল না ২৩ বছর আগের ওই ভোটার তালিকায়। পরিবারের দাবি, এই নিয়ে বৃদ্ধা গত কয়েকদিন ধরে আতঙ্কে ছিলেন। আর সেই থেকেই তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হন বলে অভিযোগ।
বৃদ্ধার হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় কমিশনকে নিশানা করেন পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা পরিষদের সদস্য টুটুল মল্লিক। তিনি বলেন, “দেশের স্বার্থে এসআইআর হওয়া উচিত। কিন্তু, এই নির্বাচন কমিশন এসআইআরের নামে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। ২০০২ সালে কোনও আতঙ্ক ছিল না। কারণ দীর্ঘদিন ধরে এসআইআর হয়েছিল। কিন্তু, তড়িঘড়ি এসআইআর করতে গিয়ে মানুষের উপর বোঝা ও আতঙ্ক চাপিয়েছে। আর সেই আতঙ্কের বলি কেসিমন বিবি।”
SIR-র মাধ্যমে শরীরে রোগ ছড়ানো নিয়ে কী যুক্তি দিলেন তৃণমূল নেতা?
এসআইআর আতঙ্কে কীভাবে রোগ ছড়াচ্ছে, সেই যুক্তি দেন তৃণমূল নেতা টুটুল মল্লিক। জেলা পরিষদের এই সদস্য বলেন, “কেসিমন বিবির ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় নাম না থাকার জন্য তাঁর মনে একটা আতঙ্ক তৈরি হয়। মনে হয়, বাংলাদেশে পুশব্যাক করে দেবে। এই আতঙ্ক থেকে মানসিক চাপ সৃষ্টি হয়। আর মানসিক চাপ থেকে মানুষের শরীরে নানা রোগের সৃষ্টি হয়। নির্বাচন কমিশনের চাপিয়ে দেওয়া একটা অসুখ, রোগ মানুষের শরীরে গিয়ে অ্যাটাক করছে। বিপদগ্রস্ত হয়ে কোনও কোনও মানুষ আত্মহত্যা করছে। আবার শারীরিক ও মানসিক চাপে কোনও কোনও মানুষের হার্ট অ্যাটাক হচ্ছে।”
BLO-দের প্রসঙ্গও টেনে আনেন তিনি। বলেন, “শুধু ভোটারদের নয়, বিএলও-দের উপর এমন চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে যে কেউ আত্মহত্যা করছেন কিংবা অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। এমন অমানবিক নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত শিকার হচ্ছেন মানুষ। কমিশনকে ধিক্কার জানাই।”