
নন্দীগ্রাম: নন্দীগ্রামে উঠেছে ডায়মন্ড-হারবার মডেল। ঠিক যে ভাবে ডায়মন্ড হারবারে বিভিন্ন স্বাস্থ্য শিবির চলেছে সেই একই কায়দায় উন্নয়নের কর্মযজ্ঞ চলুক নন্দীগ্রামেও। এই দাবি তোলেন নন্দীগ্রামবাসীর একাংশ। এমনকী বর্তমান বিধায়ক ও সাংসদকে এলাকায় দেখতে পাওয়া যায় না বলে অভিযোগ ওঠে। ভোটের আবহে তা নিয়ে তপ্ত হয়ে ওঠে জেলার রাজনৈতিক মহল। বিরুলিয়ার বাসিন্দা প্রদীপ মান্না রীতিমতো ক্ষোভের সুরে বলেছিলেন, “আমাদের এমএলএ, এমপি-র কোনও দেখা পাচ্ছি না। আমরা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে অনুরোধ করছি ডায়মন্ড-হারবারে যে পরিষেবা দিচ্ছেন সেই পরিষেবা এখানেও দেওয়া হোক।”
প্রদীপের এ কথা শুনে ক্ষোভে ফেটে পড়েছিলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর সাফ কথা, সবটাই আইপ্য়াকের সাজানো নাটক। শিখিয়ে-পড়িয়ে এ কথা বলানো হয়েছে প্রদীপ মান্নাকে। তিনি নিজে তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন। সুর চড়ান বাংলার পরিযায়ী সমস্যা নিয়ে। সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দু বলেন, “প্রদীপ মান্নাকে ভুল বুঝিয়েছিল। আমি ওকে ফোনে ধরেছিলাম। ও বলছে আইপ্যাক আমাকে শিখিয়ে এসব বলিয়েছে।” এখানেই না থেমে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে শুভেন্দু বলেন, ১ কোটি করে টাকা দিলেও নন্দীগ্রামের কোনও হিন্দু মমতাকে ভোট দেয়নি, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে দাঁড় করালেও ভোট দেবে না।” এ নিয়ে যখন চাপানউতোর পুরোদমে চলছে তখন ফের বড় কথা বলে দিলেন সেই প্রদীপ মান্না।
বিরুলিয়ার প্রদীপের সাফ কথা, শুভেন্দু অধিকারীর দাবি মিথ্যা। তাঁর সঙ্গে আইপ্যাকের কোনও সম্পর্ক নেই। স্বাস্থ্য ব্যবস্থা যেন ডায়মন্ড হারবার মডেলের মতো হয় সেটুকুই তিনি শুধু বলেছিলেন। প্রদীপ বলছেন, “শুভেন্দুবাবু যে কথাগুলো আমার নামে বলছেন সেগুলি আমি বলিনি। আইপ্যাকের কথা আমি বলিনি। আইপ্যাকের সঙ্গে আমার কোনও যোগাযোগই নেই। আমি শুধু ডায়মন্ড-হারবার মডেলের মতো স্বাস্থ্য পরিষেবা যাতে ভাল হয় সে কথা বলেছিলাম।”