Flood Situation In Bengal: ‘আমরা একটু খাবার চাইছি, অন্তত বাচ্চাদের যদি…’, হাহাকার গ্রামে-গ্রামে
Flood Situation In Bengal: স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, ভোটের সময় নেতাদের দেখা মেলে কিন্তু এখনও অবধি কোনও নেতা এসে পৌঁছননি এলাকায়। এমনকী প্রশাসনের তরফ থেকেও কোনও সাহায্য মেলেনি। তাঁরা চাইছেন অন্তত প্রশাসন এসে খাবার জল এবং ক্ষুধা নিবারনের সামান্য কিছু খাবার তাদের হাতে তুলে দিক।
পাঁশকুড়া: যেদিকে তাকানো যায় সেদিকেই শুধু জল আর জল। ভাসছে বাড়ি। ভেসে যাচ্ছে গবাদি পশু। বন্যার জেরে কার্যত হাহাকার পড়ে গিয়েছে চারিদিকে। ভোররাত থেকে জল ঢুকে প্লাবিত পাঁশকুড়ার বিস্তীর্ণ এলাকা। জলের তোড়ে ভেঙেছে বাড়ি। ভেসে গিয়েছে গবাদি পশু ও প্রয়োজনীয় জিনি। গ্রামবাসীর প্রশ্ন আমরা খাবো কী? নেই পানীয় জল। আসছে না প্রশাসনও। অবস্থা এতটাই সঙ্গীন শিশুদের পানীয় জল দিতে অক্ষম। হাহাকার পূর্ব পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশুকুড়ায়।
এ দিকে,পাঁশকুড়ায় নেমেছে এনডিআরএফ-এর দুটি দল। তারা উদ্ধারকার্যে নেমেছে। নেমেছে এস ডিআরঅফ,জেলা পুলিশ সুপার জেলাশাসক দফায় দফায় ঘুরছেন বিভিন্ন এলাকা। যে সমস্ত এলাকার ডুবে গিয়েছে মানুষজন আশ্রয় নিয়েছেন তুলনামূলক উঁচু জায়গায়। শুধুমাত্র ডকমেন্ট অর্থাৎ ভোটার কার্ড আধার কার্ড সাথে করে বাড়ি ছেড়েছেন প্রায় অনেকেই। আবার অনেকে সেটুকু আনতেও সময় পাননি। সঙ্গে না আছে কোনও খাবার। না পানিও জল। বাচ্চাদের তৃষ্ণা নিবারণের পানীয় জলটুকু তুলে দিতে পারছেন না অসহায় বাবা-মা।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, ভোটের সময় নেতাদের দেখা মেলে কিন্তু এখনও অবধি কোনও নেতা এসে পৌঁছননি এলাকায়। এমনকী প্রশাসনের তরফ থেকেও কোনও সাহায্য মেলেনি। তাঁরা চাইছেন অন্তত প্রশাসন এসে খাবার জল এবং ক্ষুধা নিবারনের সামান্য কিছু খাবার তাদের হাতে তুলে দিক।
প্রশাসনের পক্ষে চেষ্টা চালানো হচ্ছে বহু মানুষ কে তারা সরাতে পেরেছে। আরও জলবন্দি বহু। চলছে এলাকায় মাইকিং। রাতে আবারো ডিভিসি জল ছেড়েছে। বিপত্তি বাড়বে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।এলাকাবাসিদের ক্ষোভ এতটাই বেড়েছে যে সেই ক্ষোভ গিয়ে পড়ে পুলিশের উপর তা সামাল দেন জেলা পুলিশকর্তা। প্রকাশ প্রধান নামে এলাকাবাসী বলেন, “বাচ্চাদের নিয়ে বাঁধে বসে রয়েছি। আমরা গরিব মানুষ কোথায় পাব খাবার? ঘর ডুবে গিয়েছে। প্রশাসনের কেউ আসছে। বাঁধে বসে আছি। জিনিসপত্র কিছু নেই।” আরও এক বাসিন্দা বলেন, “এখানে তিনদিন বন্যা হয়েছে। পার্টির লোককে দেখে বোঝা যায় না কে কেমন। গ্রামবাসীরা সারা রাত জেগে। সকাল থেকে বাচ্চা নিয়ে বাঁধে বসেই আছি।”