তমলুক: একসময় পূর্ব মেদিনীপুরকে বলা হত ‘অধিকারী গড়’। জেলায় তৃণমূলের মুখ ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। দলের বর্ষীয়ান নেতা শিশিরও দীর্ঘদিন ধরে যুক্ত ছিলেন শাসক দলের সঙ্গে। পরে পদ্ম ফুটেছে ‘শান্তিকুঞ্জে’। বদলেছে রঙ। বর্তমানে সেই শুভেন্দুই নন্দীগ্রামের বিধায়ক তথা বিধানসভার বিরোধী দলনেতা। বৃহস্পতিবার সেই পূর্ব মেদিনীপুরে গিয়ে পুরনো কথা বলতে বলতে মমতার মুখে উঠে এল সেই অধিকারী পরিবারের প্রসঙ্গ। যদিও একবারও শিশির বা শুভেন্দুর নাম নেননি তিনি। দেবাংশু ভট্টাচার্যের প্রচারে গিয়ে মমতা এদিন এক বিশেষ ঘটনার কথা উল্লেখ করেন।
বক্তব্যের মাঝে তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, “একটা ব্যক্তিগত কথা বলি। একবার দিঘায় গিয়েছি। রিভিউ মিটিং করতে। ৩-৪ বছর আগে। ওঁরা তখন আমাদের সঙ্গে ছিলেন। যেতে যেতে আমি একটু মুচকি হাসি হেসে বললাম- ওরে যদি কোনও দিন আমরা সরকারে না থাকি, আমাদের দিঘায় ঢুকতে দেবে তো? আমি ভাবছি এখানে একটা ছোট্ট ঘর বানাব। সেই শুনে হম্বিতম্বি করে, রেগে পালিয়ে গেল গাড়ি থেকে নেমে। গাড়িতে আমি ছিলাম, ও ছিল, একজন সাংবাদিক ছিলেন।”
নিজের বাবার শপথেও রাগ করে শুভেন্দু যাননি বলে দাবি করেছেন মমতা। তিনি বলেন, “ওর বাবা যখন শপথ নিতে গিয়েছিলেন, দেখলাম ছেলে নেই শপথে। খোঁজ খবর করলাম। শুনলাম বাবা কেন মন্ত্রী হবে, ও কেন হবে না, তাই গোঁসা হয়েছে।” মমতা মনে করিয়ে দিয়েছেন, তৃণমূল তৈরি হওয়ার সময়ও যোগ দেননি শিশির অধিকারীরা। তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, “ওঁরা তখন মাটি মাপছিলেন। তখন ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন অখিল গিরি। দ্বিতীয় স্থান পেয়েছিলেন। আর ওর পিতা ছিলেন তৃতীয় স্থানে। এখন আবার তাদের অনেক ক্ষমতা।”