কাঁথি: পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে দলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়তে বাড়তে এখন সম্পর্ক আর নেই বললেই চলে তমলুকের সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারীর। শুধু খাতায় কলমে তৃণমূলের সাংসদ। এটুকুই। সামনেই লোকসভা নির্বাচন। বৃহস্পতিতেই বিজেপিতে গিয়েছেন সদ্য কংগ্রেস ছেড়ে বেরিয়ে আসা কৌস্তভ বাগচি। শোনা যাচ্ছে, আগামী ৭ মার্চ বিজেপির একটি মেগা জয়েনিং কর্মসূচি রয়েছে। সেখানে কি দেখা যাবে দিব্যেন্দুকে? টিভি নাইন বাংলায় এক একান্ত সাক্ষাৎকারে এ বিষয়ে প্রশ্ন করায় সরাসরি কিছু উত্তর দিতে চাইলেন না তমলুকের সাংসদ। বরং কিছুটা ধোঁয়াশা রেখেই জানিয়ে দিলেন, ‘আর তো ক’টা দিন। কারা যোগ দিচ্ছে, কারা দিচ্ছে না, সেটা সাত তারিখেই বোঝা যাবে।’
তবে সুযোগ পেলে বিজেপিতে যোগদান করতে যে তিনি ইচ্ছুক, সেকথা গোপন করলেন না শান্তিকুঞ্জের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এই রাজনৈতিক নেতা। তৃণমূলের সঙ্গে সম্পর্ক বলতে যে আর কিছুই অবশিষ্ট নেই, সেকথাও বুঝিয়ে দিলেন তিনি। তৃণমূলের সঙ্গে দূরত্বের ইস্যুতে প্রশ্ন শুনে নিজেই জানালেন, ‘আমি দলে নেই-ই ধরে নিতে পারেন। সাংসদ আছি। যতটুকু আমার মেয়াদ আছে, সাংসদ থাকব।’ এরপরই দিব্যেন্দুর আরও সংযোজন, আমি আমার দাদাকে নিয়ে গর্বিত। দাদা আমার কাছে গর্বের দাদা। যাঁর জন্য আমার বুকটা সবসময় চওড়া হয়ে থাকে।’
তৃণমূলের সঙ্গে সম্পর্ক যে আর কিছু বাকি নেই, সে কথা নিজেই মানছেন সাংসদ। তাহলে আনুষ্ঠানিকভাবে বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন না কেন? সেই নিয়ে প্রশ্নেও অকপট জবাব, ‘সুযোগ পেলে নিশ্চয়ই করব।’ তবে বিজেপিতে যোগদানের ইচ্ছার কথা জানালেও বিজেপির হয়ে ভোটে লড়বেন কি না, সে নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি দিব্যেন্দু। সঙ্গে এও জানিয়ে রাখলেন যে আগামিকাল হলদিয়ায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন তিনি। সাংসদ হিসেবে তাঁকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে ইন্ডিয়ান অয়েল কর্তৃপক্ষ।