Mysterious Death: জন্মদিনের পার্টি, ফ্যামিলি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে আড্ডা, তার এক ঘণ্টার মধ্যেই সব শেষ! আমেরিকায় পড়তে গিয়ে দিঘার ছাত্রের রহস্যজনক মৃত্যু
Mysterious Death: পরিবারের সদস্যরা জানাচ্ছেন, গত ৪ জানুয়ারি বিনয়ের জন্মদিন ছিল। বিদেশেই তাঁর বন্ধুরা মিলে কেক কেটে পার্টি করেন বলেও জানেন পরিবারের সদস্যরা। পরে ৬ ই জানুয়ারি তাঁর মৃত্যু হয়। ২৭ জানুয়ারি বিনয়ের বাড়ি ফেরার কথা ছিল। বিনয় ফিরলেন বটে তবে কফিনবন্দি অবস্থায়। কান্নায় ভেঙে পড়েছেন বিনয়ের বাবা অমল কুমার।
পূর্ব মেদিনীপুর: আমেরিকায় ন্যাসভিলে পড়তে গিয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া ছাত্রের রহস্যজনক মৃত্যু। ১৮ দিন পরে কাঁথির সাংসদ শিশির অধিকারীর সহযোগিতায় ভারত সরকার ও আমেরিকার যৌথ চেষ্টায় মৃত পুত্রের দেহ ফিরে পেলেন বাবা। কান্নায় ভেঙে পড়ল পরিবার। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত ছাত্রের নাম বিনয়কুমার জানা (২৬)। বাড়ি রামনগরের পিছাবনীর সটিলাপুর এলাকায়।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বিনয়কুমার আমেরিকায় ন্যাশভিলে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছিলেন। তাঁর দিদি জানাচ্ছেন, যেদিন ঘটনাটি ঘটে, তার এক ঘণ্টার আগেও মায়ের সঙ্গে কথা বলেছিলেন বিনয়। ফ্যামিলি গ্রুপে হাসাহাসিও করেন। বিনয়ের জন্য পাত্রী দেখা হচ্ছিল। তারপর থেকেই আর ফোনে বিনয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছিলেন না পরিবারের সদস্যরা। তারপর সেখানকার পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানতে পারেন, ৬ জানুয়ারি আত্মহত্যা করেছেন বিনয়। পরিবারের সদস্যরা সেটি জানতে পারেন ১১জানুয়ারি। তবে ময়নাতদন্ত করানো হয়। সেক্ষেত্রে মৃত্যুর আসল কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে।
পরিবারের সদস্যরা জানাচ্ছেন, গত ৪ জানুয়ারি বিনয়ের জন্মদিন ছিল। বিদেশেই তাঁর বন্ধুরা মিলে কেক কেটে পার্টি করেন বলেও জানেন পরিবারের সদস্যরা। পরে ৬ ই জানুয়ারি তাঁর মৃত্যু হয়। ২৭ জানুয়ারি বিনয়ের বাড়ি ফেরার কথা ছিল। বিনয় ফিরলেন বটে তবে কফিনবন্দি অবস্থায়। কান্নায় ভেঙে পড়েছেন বিনয়ের বাবা অমল কুমার। তাঁর দুই মেয়ে ও এক ছেলে। ছেলের এভাবে চলে যাওয়া মেনে নিতে পারছেন না বৃদ্ধ। তিনি বলেন, “কাঁথির সাংসদ শিশির অধিকারী সচেষ্ট হয়েছেন। আর প্রতিবেশীরা পাশে ছিলেন। তা না হলে হয়তো ছেলের মুখ দেখাই হত না।” শুক্রবারই দেহ ফেরে, সেদিনই তাঁর সৎকার্য সম্পন্ন করেন পরিবারের সদস্যরা। বিনয়ের দিদি বলেন, “ভাইয়ের দেশে ফেরার কথা ছিল। আমিও ফিরছিলাম। বাড়িতে সবাই খুব খুশি ছিল। ওর বিয়ে দেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছিল। আমরা ঠিক বুঝতেই পারছি না আসলে কী হয়েছে। কিন্তু বিদেশে ময়নাতদন্ত করে দেহ ফিরিয়ে আনতে আরও অনেকটা সময় লেগে যেত। বাবা-মা চাইছিলেন, তাড়াতাড়ি ফিরিয়ে আনতে।”
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি গৌতম জানা বলেন, “এটা খুব দুঃখজনক ঘটনা। তবে কাঁথির সাংসদ শিশির অধিকারী , স্থানীয় প্রধান ও সহযোগিতায় তাঁরা এই মৃতদেহ ফিরে পেলেন। ছাত্রের পরিবারের প্রতি সমবেদনা রয়েছে।”