Nandigram Chaos: ভোটের আগে অশান্ত নন্দীগ্রাম, ‘খুন’ BJP-র মহিলা সমর্থক, বনধের ডাক পদ্ম শিবিরের
Nandigram: এই পরিস্থিতিতে বুধবার রাত্রিবেলা প্রায় আড়াইটে বা তিনটে নাগাদ তৃণমূল ও বিজেপি পাহাড়ারত অবস্থায় বচসা শুরু হয়। তার থেকে হাতাহাতি। দুই পক্ষ বাঁশ লাঠি সহ অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। আর এই ঘটনায় এক মহিলা সহ ৬ জন আহত হন।

নন্দীগ্রাম: ভোটের আগে উত্তপ্ত নন্দীগ্রাম। পূর্ব মেদিনীপুরের সোনাচূড়ার মনসা এলাকায় বিজেপি তৃণমূল সংঘর্ষে উত্তপ্ত পরিস্থিতি বলে খবর। এই ঘটনায় ৫ থেকে ৭ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে এক বিজেপি সমর্থকের মৃত্যু। মৃত মহিলার নাম রতিবালা আড়ি। এরপরই নন্দীগ্রাম থানার সামনে বিক্ষোভ এলাকাবাসীর। ডাক দেওয়া হয়েছে বনধের।
মূলত, নন্দীগ্রামের সোনাচূড়া গ্রাম পঞ্চায়েতটি বিজেপির দখলে। সেই সোনাচূড়ার ১ ব্লকের মনসা বাজার এলাকায় দুই রাজনৈতিক দলের স্থানীয় নেতৃত্ব সহ কর্মীরা পালা করে রাত্রিবেলা পাহাড়ায় বসেছিল। কারণ এলাকায় দুই দলের ফ্ল্যাগ,ফেস্টুন,ব্যানার সহ বুথ অফিস রয়েছে। যাতে এক পক্ষ অপর পক্ষের কোনও ক্ষতি না করতে পারে সেই কারণে পালা করে চলছিল পাহাড়ার কাজ। এই পরিস্থিতিতে বুধবার রাত্রিবেলা প্রায় আড়াইটে বা তিনটে নাগাদ পাহাড়ারত অবস্থায় বচসা শুরু হয় তৃণমূল ও বিজেপি দুই পক্ষের। তার থেকে হাতাহাতি। দুই পক্ষ বাঁশ লাঠি সহ অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এক মহিলা সহ ৬ জন আহত হন।
অভিযোগ উঠছে, তৃণমূলের দলবল এক বিজেপি কর্মীর উপর বাঁশ লাঠি হাতে চড়াও হয়। সেই সময় ছেলেকে বাঁচাতে তাঁর মা অর্থাৎ রতিবালা আড়ি ঘটনাস্থলে ছুটে যান। সেই সময় বাঁশের বাড়ি লাগে তাঁর মাথায়। সঙ্গে-সঙ্গে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় পড়ে যান তিনি। তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনার খবর চাউর হতেই আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। এলাকাবাসী গাছের গুঁড়ি ফেলে পথ অবরোধ করে।
পুলিশ থেকে শুরু করে সংবাদ মাধ্যমকে প্রথমে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয় এলাকায়। পরে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব বনধের ডাক দেয়। পাশাপাশি নন্দীগ্রাম থানার সামনে বিক্ষোভ দেখানো হয়। এলাকায় বিজেপি নেতা বলেন, “অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এর জন্য দায়ী। উনি কাল এখানে এসে প্ররোচনামূলক বক্তব্য রেখেছিলেন। তার উপর ভিত্তি করে গতকাল রাত্রিবেলা এই ঘটনা ঘটেছে।





