BJP Leader Arrest: খেজুরি থেকে গ্রেফতার BJP নেতা
Khejuri: বস্তুত, একুশের নির্বাচন হোক বা পঞ্চায়েত নির্বাচন সব সময়ই শিরোনামের ছিল এই এলাকা। খেজুরি নাম রাজনীতি,হানাহানি, বোম ও বন্দুকের জন্য কার্যত বিখ্যাত বলা চলে। আর সাম্প্রতিকালে একটা পঞ্চায়েত সমিতি নিয়েই চলছে দড়ি টানাটানি।
খেজুরি: গ্রেফতার বিজেপি নেতা উদয় শঙ্কর মাইতি। পূর্ব মেদিনীপুর খেজুরি দুই পঞ্চায়েত সমিতি সভাপতি তিনি। যার জেরে শুরু জোর গুঞ্জন।
বস্তুত, একুশের নির্বাচন হোক বা পঞ্চায়েত নির্বাচন সব সময়ই শিরোনামের ছিল এই এলাকা। খেজুরি নাম রাজনীতি, হানাহানি, বোম ও বন্দুকের জন্য বিখ্যাত বলা চলে। আর সাম্প্রতিকালে একটা পঞ্চায়েত সমিতি নিয়েই চলছে দড়ি টানাটানি। ২০২৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলের বিরুদ্ধে জয়ী হন তিনি। ঠিক কয়েকদিন পরই বোর্ড গঠনের সময় অভিযোগ ওঠে অর্থের বিনিময়ে তৃণমূলের কাছে ‘নত’ হন উদয়। এরপর ঘাসফুল শিবিরে যোগদান করেন তিনি। সভাপতি নির্বাচিত হন।
বেশ কিছুদিন অর্থ্যাৎ লোকসভা নির্বাচনের পর আবারো বিজেপির পঞ্চায়েত নেতৃত্বের হাত থেকে বিজেপির পতাকা নিতে দেখা যায় তাঁকে। অভিযোগ, তারপরই এলাকায় তৃণমূলের উপর অত্যাচার ঘর দোকান ভাঙচুর সহ চাকরি দেওয়ার নামে টাকা তোলা অভিযোগ ওঠে। আর এই সব অভিযোগের ভিত্তিতে খেজুরি ২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি উদয় শঙ্কর মাইতিকে গ্রেফতার করেছে তালপাটি ঘাট কোস্টাল থানার পুলিশ।
এই গ্রেফতারি নিয়ে রাজ্যের মন্ত্রী অখিল গিরি বলেন,”আমরা তৃণমূলের কর্মীরা নানা ভাবে অত্যাচারের শিকার। পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির পদে থেকেই হিংসা, অশান্তিতে মদত দিচ্ছিলেন উদয়শঙ্কর। সরকারি কাজেও বাধা দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।” বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য অসীম মিশ্র বলেন, “তৃণমূল থেকে নিজের ভুল বুঝতে পেরে ঘর ওয়াপসি হয়েছে ওঁর। তাই মিথ্যা মামলায় তাঁকে ফাঁসানোর চেষ্টা হচ্ছে।।” এই বিষয় এসডিপিও কাঁথি দিবাকর দাস জানান, “একাধিক অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁকে। অভিযুক্তের কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। সে কোথা থেকে এই আগ্নেয়াস্ত্র পেয়েছে তা নিয়েই তদন্ত হচ্ছে।”