Mandarmani: ঘরে বন্ধ বাবা-সন্তানদের আটকে রেখে স্বামীকে খুন? গ্রেফতার স্ত্রী, নাম জড়াল সিভিকেরও
Mandarmani news: এরপর গতকাল রাতে দেবী নিজের বাবা ও ছেলে-মেয়েকে ঘরের ভিতর ঢুকিয়ে বন্ধ করে দেন। কিন্তু কেন দরজা বন্ধ করা হচ্ছে তিনি জানতে চাইলেও বললেননি দেবী। পরবর্তীতে প্রফুল্লবাবু জানান, রাতের বেলা অলোকের বন্ধু পেশায় সিভিক ভলান্টিয়ার সীতারাম বারিক বাড়িতে আসেন।

মন্দারমণি: ঘরের ছাদে মদ-মাংসের আসর। বাবা ও সন্তানদের ঘরের ভিতর বন্ধ করে স্বামীকে খুনের অভিযোগ। গ্রেফতার মহিলা। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের মন্দারমনির কোস্টাল থানার অধীন দুবলাবাড়ি গ্রামে।
জানা গিয়েছে, পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মান্দারমনি উপকূল থানার অধীন দুবলাবারি গ্রামের বাসিন্দা অলক দলাই। তিনি স্ত্রী দেবী দলাই ও দুই সন্তানকে নিয়ে বসবাস করতেন। তিনি পেশায় মৎস্যজীবী। এলাকাবাসীর দাবি, দীর্ঘদিন ধরেই অলোকবাবুর কাজে বেরিয়ে গেলে তাঁর বাড়িতে পুরুষ মানুষের যাতায়াত হত। এরপর গতকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার তাঁদের বাড়িতে নিমন্ত্রণ ছিল অলোকের শ্বশুর প্রফুল্লর।
এরপর গতকাল রাতে দেবী নিজের বাবা ও ছেলে-মেয়েকে ঘরের ভিতর ঢুকিয়ে বন্ধ করে দেন। কিন্তু কেন দরজা বন্ধ করা হচ্ছে তিনি জানতে চাইলেও বললেননি দেবী। পরবর্তীতে প্রফুল্লবাবু জানান, রাতের বেলা অলোকের বন্ধু পেশায় সিভিক ভলান্টিয়ার সীতারাম বারিক বাড়িতে আসেন। গভীর রাতে তিনজন (মেয়ে-জামাই-সিভিক) ছাদে গিয়ে গল্প করেন।
এরপর আজ সকালে প্রফুল্লবাবু দেখেন ঘরের দরজা খোলা। জামাই পড়ে আছেন। বাড়িতে মেয়ে নেই। এরপর অলককে উদ্ধার করে বালিসাই হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসার তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। মৃতের আত্মীয়দের দাবি, অলোককে খুন করা হয়েছে। অলোকের কাকিমা বলেন, “আমরা যখন মৃতদেহ দেখি পিঠে কালচে দাগ। বাম দিকের চোখ খোলা। মনে হয় গামছা চেপে খুন করা হয়েছে।” অভিযুক্ত সিভিক সীতারাম বারিক বলেন, “ওই সিভিক বলেন, “নিমন্ত্রণ করেছিলেন। গিয়েছিলাম। ওরা অত্যাধিক ঝামেলা করছিলেন। আমায় থানায় জানাতে দেননি ওঁর স্ত্রী। এখানে কোনও খুন হয়নি। অলোকবাবুই চুল ধরে টেনে আনে স্ত্রীর। তখনই গড়িয়ে পড়ে যান। সেই সময়ই লেগে গেছে হয়ত।”





