২ দিন পেরোতে চলল, কিন্তু এখনও নাকি অভিযুক্ত সিভিক শুভঙ্করকে খুঁজেই পাচ্ছে না পুলিশ! চড়ছে ক্ষোভ
Panskura: রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন তুলিকা দাস বলেন, "আমরা স্বতঃপ্রণোদিতভাবে তদন্ত করছি। আমরা এসপিকে চিঠি দিয়েছি। এফআইআর, ইনকোয়ারি রিপোর্ট চাই। সিসিটিভি ফুটেজও আমাদের হাতে এসেছে। আমরা যথাস্থানে বিষয়টা জানিয়েছি।"

পূর্ব মেদিনীপুর: অভিযোগ দায়েরর পর প্রায় দুদিন পেরোতে চলেছে। এখনও পাঁশকুড়াকাণ্ডে অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়রকে গ্রেফতার করল না পুলিশ। যদিও এই নিয়ে পুলিশ কোনও উত্তর দেয়নি। প্রশ্ন উঠছে সমগ্ৰ তদন্ত তা হলে কোন দিকে এগোচ্ছে ? তবে পুলিশেরই একাংশ সূত্রের খবর, সিভিকের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ, তার প্রকৃত তথ্যে ও প্রমাণ এখনও পাওয়া যায়নি।
রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন তুলিকা দাস বলেন, “আমরা স্বতঃপ্রণোদিতভাবে তদন্ত করছি। আমরা এসপিকে চিঠি দিয়েছি। এফআইআর, ইনকোয়ারি রিপোর্ট চাই। সিসিটিভি ফুটেজও আমাদের হাতে এসেছে। আমরা যথাস্থানে বিষয়টা জানিয়েছি।”
কিন্তু কেন এখনও অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়র শুভঙ্কর দীক্ষিতকে গ্রেফতার করা হচ্ছে না, তা নিয়ে সরব গ্রামবাসী থেকে শুরু করে বিরোধী দলের স্থানীয় নেতারাও। বিজেপি নেতা তরুণ ভট্টাচার্য বলেন, “এই সিভিক তো আসলে নেতাদের বাড়ির সমস্ত কাজ করে থাকে। আমাদের ধারণা, পুলিশ গ্রেফতার করবে না!”
সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, “স্কুলছাত্রে আত্মঘাতী, অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়র। তাঁকে গ্রেফতার করার কথা। অথচ তাঁকে নাকি পুলিশ খুঁজেই পাচ্ছে না। সরকার চাইলে পাবে, না চাইলে পাবে না। এখন পুলিশ চালাচ্ছে সিভিক পুলিশ।”
অভিযুক্ত সিভিক শুভঙ্করকে ছাড়াও পুলিশ আরও একজনকে খুঁজছে। তাঁর নাম শ্যামাপদ ভুঁইঞা। এলাকার জামাই বলে পরিচিত। কৃষ্ণেন্দুর পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার দিন মাঠে কাজ করছিলেন তাঁর মা। সে সময়ে শ্যামাপদই মাঠে গিয়ে তার মাকে ডেকে সবার সামনে জানিয়েছিলেন, তাঁর ছেলেকে ধাওয়া করেছে এক দোকানদার। খবর পেয়েই দোকানে ছোটেন কৃষ্ণেন্দুর মা। অভিযোগ, তিনি গ্রামে বিষয়টি রটিয়েছিলেন।

