Panskura Child Death: ‘কৃষ্ণেন্দু চিপস চুরি করেছে’, সেদিন গ্রামে রটিয়েছিল কে? উঠে এল ‘গ্রামের জামাইয়ের’ নাম, ঘটনায় নয়া মোড়
Panskura Child Death: কৃষ্ণেন্দুকে আগলাচ্ছেন! কিন্তু গোটা আবহে একটি নাম উঠে এসেছে নতুন করে। তিনি হলেন শ্যামাপদ ভুঁইঞা। এলাকার জামাই বলে পরিচিত। এই শ্যামাপদ বিরুদ্ধেই এবার মুখ খুলেছে ছাত্র ও সিভিক উভয়েরই পরিবার। কেন?

পূর্ব মেদিনীপুর: সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রের আত্মহত্যা। যা শোরগোল ফেলে গোটা বাংলায়। ছাত্রের পরিবার অভিযোগ করেছে সিভিক ভলান্টিয়রের বিরুদ্ধে। আবার গ্রামবাসীদের হামলায় পাল্টা ভীত সন্ত্রস্ত সিভিকের পরিবারও। গোটা পরিস্থিতি এখন তপ্ত। এখনও পর্যন্ত তদন্তে পুলিশের হাতে এসেছে দুটি বিষয়। এক. সপ্তম শ্রেণির ছাত্র কৃষ্ণেন্দুর একটা চিঠি। যে চিঠির হাতের লেখার গড়মিলের অভিযোগ উঠছে সম্প্রতি। আরেকটি সিসিটিভি ফুটেজ। যেখানে দেখা গিয়েছে, ওই চিপসের দোকানেই ছেলেকে শাসন করছেন মা। সেখানে আবার অভিযুক্ত সিভিকই কৃষ্ণেন্দুকে আগলাচ্ছেন! কিন্তু গোটা আবহে একটি নাম উঠে এসেছে নতুন করে। তিনি হলেন শ্যামাপদ ভুঁইঞা। এলাকার জামাই বলে পরিচিত। এই শ্যামাপদ বিরুদ্ধেই এবার মুখ খুলেছে ছাত্র ও সিভিক উভয়েরই পরিবার। কেন? কারণ অভিযোগ, এই শ্যামাপদ গোটা গ্রামে ছড়িয়েছিলেন, ‘কৃষ্ণেন্দু চিপসের প্যাকেট চুরি করেছে।’
কৃষ্ণেন্দুর পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার দিন মাঠে কাজ করছিলেন তাঁর মা। সে সময়ে শ্যামাপদই মাঠে গিয়ে তার মাকে ডেকে সবার সামনে জানিয়েছিলেন, তাঁর ছেলেকে ধাওয়া করেছে এক দোকানদার। খবর পেয়েই দোকানে ছোটেন কৃষ্ণেন্দুর মা। তারপর দোকানের ফুটেজ সামনে এসেছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, কৃষ্ণেন্দুকে শাসন করছেন, তারে গালে থাপ্পড় মারছেন মা। আর কৃষ্ণেন্দুকে সামলাচ্ছেন সিভিক। কৃষ্ণেন্দুর মা সুমিত্রা দাস বলেন, “আমাকে এসে জানিয়েছিল, তোমার ছেলেকে মোটর সাইকেল নিয়ে দোকানদার ধাওয়া করেছে।”
আবার সিভিকের পরিবারও এই শ্যামাপদর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। সিভিকের স্ত্রী বলেন, “আমার স্বামী কাউকে গিয়ে বলতে যায়নি, ও চোর, ও কিছু করেছে। ওই শ্যামই গিয়ে ওর বাবা-মাকে গিয়ে বলেছে।” ঘটনার পর থেকে শ্যাম ভুঁইঞার খোঁজ মিলছে না। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, “বাচ্চাটাকে বাইক ধাওয়া করে নিয়ে এসেছিল। বাচ্চাটা ভয় পেয়ে থর থর করে কাঁপছিল। ছেলেটা বারবার বলেছে নীচে পড়েছিল, কুড়িয়ে নিয়েছে। দোকান থেকে নিইনি। তুমি ২০টাকা নিয়ে নাও। সিভিক বারবার চমকাচ্ছিল, জানো আমি সিভিক পুলিশ, কী করতে পারি! আমরাও তখন শুভঙ্করকে বলেছিলাম, একটা বাচ্চার সঙ্গে এমন করছো!” কৃষ্ণেন্দুর পরিবারের তরফ থেকে অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়র শুভঙ্কর দীক্ষিতের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
