Clash at Contai: বিজেপির ‘সুশাসন দিবস’ ঘিরে উত্তেজনা কাঁথিতে, পাল্টা সরব তৃণমূলও
BJP: প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীর জন্মদিবস উপলক্ষে 'সুশাসন দিবস' পালন করছে বিজেপি। রাজ্যের অন্যান্য জেলার সঙ্গে পূর্ব মেদিনীপুরেও এই দিনটি উদযাপনের পরিকল্পনা নেয় গেরুয়া শিবির।
কাঁথি: বিজেপির ‘সুশাসন প্রতিষ্ঠা দিবস’কে কেন্দ্র করে শনিবার উত্তপ্ত হয়ে উঠল কাঁথি। বিজেপির ফ্লেক্স, ব্যানার ছিঁড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। পাল্টা ঘাসফুল শিবিরের দাবি, কেন্দ্রীয় জওয়ান দিয়ে মারধরের চেষ্টা করা হয়েছে তাদের লোকজনকে।
প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীর জন্মদিবস উপলক্ষে ‘সুশাসন দিবস’ পালন করছে বিজেপি। রাজ্যের অন্যান্য জেলার সঙ্গে পূর্ব মেদিনীপুরেও এই দিনটি উদযাপনের পরিকল্পনা নেয় গেরুয়া শিবির। এদিন কাঁথির ডরমেটরি মাঠে সেই অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল। তার আগে কাঁথি শহর জুড়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীর ব্যানার পোস্টার লাগানো হয়েছিল।
অভিযোগ, তৃণমুল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা সেই সমস্ত ফ্লেক্স, ব্যানার নষ্ট করে দেয়। এমনকী তমলুকের সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারীকে হেনস্তা করা হয় বলেও অভিযোগ উঠেছে। পাল্টা তৃণমূল কর্মীদের দাবি, এসব অভিযোগের কোনও সত্যতা নেই। বরং কাঁথির জুনপুট মোড়ে সাংসদের দেহরক্ষীরা গায়ে হাত তোলে বলে অভিযোগ তাঁদের। বেশ কয়েকজন তৃণমূল কর্মী আহত হন বলেও দাবি শাসকদলের কর্মীদের।
আহতদের কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তৃণমূলের অভিযোগ, বিনা প্ররোচনায় সিআরপিএফ জওয়ানরা তৃণমূলের কর্মী সমর্থকদের উপর হাত তোলে। স্থানীয় সূত্রে খবর, রাতের অন্ধকারে কাঁথিতে বিজেপির কর্মসূচিতে ফ্লেক্স ছিঁড়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। যা ঘিরে শনিবার সকাল থেকেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা।
এ প্রসঙ্গে কাঁথির যুব তৃণমূল নেতা সুরজিৎ নায়েক বলেন, “আসলে সাংসদের মাথা কাজ করছে না। ওনাদের পাশে তো কোনও মানুষ নেই। সিআরপিএফ নিয়ে ঘোরাফেরা করেন। আমাদের কিছু ছাত্র পরিষদের ছেলে রাতে যাচ্ছিল। সাংসদের গাড়ি থেকে কটুক্তি আসে। তাতে আমাদের ছেলেরা প্রতিবাদ করে। এরপর সাংসদ নিজে দাঁড়িয়ে থেকে সিআরপিএফ দিয়ে আমাদের ছেলেদের মারধরের চেষ্টা করেন। আসলে কাঁথি শহরে মানুষ তো ওনার পাশে নেই। কেন্দ্রীয় জওয়ান দিয়ে তাই ভয় দেখানোর চেষ্টা করছেন। এর প্রতিবাদে আমরা আগামিদিনে সর্বাত্মক আন্দোলনে নামব। কাঁথি পুরসভার মানুষকে সিআরপিএফের ভয় দেখিয়ে ভোট লুঠের পরিকল্পনা করছে ওরা। আজ আমরা প্রাথমিকভাবে পুলিশ প্রশাসনকে জানাচ্ছি। তবে এরপর সিআরপিএফের বিরুদ্ধে আমরা কাঁথিজুড়ে বড়সড় আন্দোলনে নামব।” যদিও এ প্রসঙ্গে দিব্যেন্দু অধিকারীর সঙ্গে কোনওভাবেই যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
তৃণমূল বিধায়ক অখিল গিরির কথায়, “পতাকা, ব্যানার সবই জায়গামতোই আছে। কেউ কিছুই নষ্ট করেনি। ওদের লোকজন হয়নি বলে তৃণমূলের উপর দোষ চাপাচ্ছে।”
অন্যদিকে বিজেপি কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক অসীম মিশ্রের কথায়, “তৃণমূল কংগ্রেস এতটাই নির্লজ্জ, ওরা কাঁথির পরিবেশকে অশান্ত করতে চাইছে। শুক্রবার রাতে তৃণমূলের হার্মাদ উন্মাদ বাহিনী বাইকে করে মুখে কালো কাপড় বেঁধে আমাদের সমস্ত পোস্টার ফ্লেক্স ছিঁড়ে ফেলে। শনিবার অটলজির জন্মতিথি উপলক্ষে যে অনুষ্ঠান তা পণ্ড করার জন্য ওরা এসব করেছে। কিন্তু কাঁথির মানুষ জাতীয়তাবাদী মানুষ। তাঁরা বিজেপিকে ভালবাসেন বলেই এখানে জিতিয়েছেন। এসব করে কোনও লাভ নেই।”
আরও পড়ুন: BJP District President: এবার উত্তর কলকাতার বিজেপি সামলাবেন কল্যাণ চৌবে, বদল অধিকাংশ জেলা সভাপতিই