R G Kar: ‘আমার ছেলেকে মার্ডার করলে ভাল হত’, সত্যি ঘটনা সামনে আসতেই আক্ষেপ সৌমেন মহাপাত্রের
R G Kar: অনেকেরই প্রশ্ন এই শুভদীপ নামের ছেলেটি তাহলে কে ? সে কি সত্যিই আর জি করের ছাত্র? সামাজিক মাধ্যমে এও দাবি করা হয়, শুভদীপ নাকি ঘটনার পর থেকেই উধাও। কিন্তু কলকাতা পুলিশ এর সত্যতা সামনে এনেছে।
পূর্ব মেদিনীপুর: আর জি কর কাণ্ডে এক জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তদন্তভার হাতে নিয়েছে সিবিআই। কিন্তু সিবিআই তদন্ত হাতে নেওয়ার আগেই সামাজিক মাধ্যমে দাবি উঠছিল, এই ঘটনায় এক জন নয়, একাধিক জন জড়িত থাকতে পারে। আর সেই হিসাবে সামাজিক মাধ্যমে এক যুবকের ছবিও ভাইরাল হয়। আর তাতে দাবি করা হয় তিনিই নাকি প্রাক্তন মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্রের ছেলে। এবার জানা গেল সেই যুবকের আসল পরিচয়। তা প্রকাশ্যে এনে প্রাক্তন মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র দাবি করলেন, “প্রবীর সিংহ মহাপাত্র আমাদের গণরোষ বা গণপিটুনির হাত থেকে বাঁচিয়েছেন! যাঁরা মিথ্যা পোস্ট করেছেন, তাঁরা আমাকে, আমার ছেলেকে মার্ডার করলে ভাল হত।”
আগেই সাংবাদিক বৈঠক করে সৌমেন মহাপাত্র স্পষ্ট করেন, তাঁর ছেলে জড়িত নন এবং যে যুবকের ছবি ভাইরাল হয়েছে, তিনি তাঁর ছেলেও নন। প্রকাশ্যে এসেছিলেন প্রাক্তন মন্ত্রীর স্ত্রী তৃণমূলের পাঁশকুড়া টাউন সভানেত্রী সুমনা মহাপাত্রও। যদিও কলকাতা পুলিশ এবং বাঁকুড়া পুলিশের যৌথ তদন্তে আসল পরিচয় উঠে আসে শুভদীপ সিংহ মহাপাত্র বাঁকুড়া জেলার প্রবীর সিংহ মহাপাত্রর ছেলে।
শুভদীপের বাবা সেই কথা সাংবাদিক বৈঠক করে স্বীকার করেন। আর তাতেই স্বস্তি পান তমলুকের বিধায়ক সৌমেন মহাপাত্র এবং তাঁর পরিবার। সেক্ষেত্রে তমলুক জেলা বিধায়ক কার্যালয়ে সাংবাদিক বৈঠক করে জানালেন, আতঙ্কে ছিলেন। তাঁরই দলেরই কেউ বা কারা তাঁদের নামে অপপ্রচার করেন, তাঁদের ফাঁসিয়ে জনরোষের স্বীকার করানোর চক্রান্ত করেছিল বলে অভিযোগ করেন তিনি।
প্রাক্তন মন্ত্রী জানান, শুভদীপ সিংহ মহাপাত্রের বাবা সত্য প্রকাশ করে তাঁদের গণপিটুনির হাত থেকে বাঁচিয়েছেন। তিনি বলেন, “যাঁরা মিথ্যা পোস্ট করেছেন, তাঁরা আমাকে এবং আমার ছেলেকে প্রাণে মেরে ফেললে ভাল হত।” আক্ষেপ করে বলেন সৌমেন মহাপাত্র।
অনেকেরই প্রশ্ন এই শুভদীপ নামের ছেলেটি তাহলে কে ? সে কি সত্যিই আর জি করের ছাত্র? সামাজিক মাধ্যমে এও দাবি করা হয়, শুভদীপ নাকি ঘটনার পর থেকেই উধাও। কিন্তু কলকাতা পুলিশ এর সত্যতা সামনে এনেছে। কলকাতা পুলিশের দাবি অনুযায়ী, শুভদীপের বাড়ি বাঁকুড়ায়। তাঁর বাবার নাম প্রবীর সিংহ মহাপাত্র। তিনি প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক। তাঁর পরিবার একেবারেই প্রভাবশালী নয়। এই পরিবারের সঙ্গে কোনও মন্ত্রীরও কোনওরকম সম্পর্ক নেই।
পুলিশ আরও স্পষ্ট করেছে, শুভদীপ নিখোঁজও নয়। ঘটনার দিন থেকে সে হাসপাতালেই ছিল। কোথাও যায়নি। কলকাতা পুলিশ তার সঙ্গে কথাও বলেছে তদন্ত চলাকালীন।
এই সংক্রান্ত একাধিক গুজব ছড়িয়েছে আরজি কর কাণ্ড নিয়ে। শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠক করে সে বিষয়টি স্পষ্ট করেছে পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল। সিপি বলেন, “এই ঘটনাটি নিয়ে অনেক রকমের গুজব ছড়াচ্ছে। কখনও বলা হচ্ছে এটা গণধর্ষণের ঘটনা, কখনও বলা হচ্ছে ১৫০ গ্রাম সিমেন পাওয়া গিয়েছে, কখনও আবার মহাপাত্র পদবিধারীকে বিশেষ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের পদবির সঙ্গে জুড়ে দোষী হিসাবে চিহ্নিত করা হচ্ছে। এই ধরনের গুজব নিয়ে বিশ্লেষণও হচ্ছে। যা সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রভাব ফেলছে।”