C V Ananda Bose: রাজভবনে আচমকা শিশির-দিব্যেন্দু, রাজ্যপাল বোসকে শান্তিকুঞ্জে আমন্ত্রণ
CV Ananda Bose: বেশ অনেকটা সময় রাজভবনে কাটান কাঁথির শান্তিকুঞ্জের দুই সাংসদ। আচমকা দুই সাংসদের রাজভবনে যাওয়ার খবর প্রকাশ্যে আসতেই ব্যাপক শোরগোল পড়ে যায় রাজনৈতিক মহলে। কেন দুই সাংসদ হঠাৎ রাজভবনে গেলেন বোসের দুয়ারে, তা নিয়ে কৌতুহলও তৈরি হয় অনেকের মনে।

কাঁথি: সোমবার বিকেলে হঠাৎ রাজভবনে শান্তিকুঞ্জের দুই তাবড় নেতা। কাঁথির বর্ষীয়ান সাংসদ শিশির অধিকারী ও তমলুকের সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী। এদিন বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ রাজভবনে যান তাঁরা। দেখা করেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে। বেশ অনেকটা সময় রাজভবনে কাটান কাঁথির শান্তিকুঞ্জের দুই সাংসদ। আচমকা দুই সাংসদের রাজভবনে যাওয়ার খবর প্রকাশ্যে আসতেই ব্যাপক শোরগোল পড়ে যায় রাজনৈতিক মহলে। কেন দুই সাংসদ হঠাৎ রাজভবনে গেলেন বোসের দুয়ারে, তা নিয়ে কৌতুহলও তৈরি হয় অনেকের মনে।
তবে প্রায় এক ঘণ্টা রাজভবনে কাটিয়ে সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী টিভি নাইন বাংলাকে জানালেন, পুরোটাই সৌজন্য সাক্ষাৎ। রাজনৈতিক কোনও বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়নি বলেও জানালেন তিনি। তাঁর স্পষ্ট কথা, তাহলে কী নিয়ে আলোচনা হল রাজভবনে? তমলুকের সাংসদ বললেন, “প্রায় এক ঘণ্টা সময় দিয়েছেন রাজ্যপাল। তবে কথোপকথন কী হয়েছে, সেটা বাইরে কীভাবে বলব? তবে কথাবার্তা হয়েছে। আমার পরিবার সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন।” দিব্যেন্দু জানালেন, রাজ্যপাল এ রাজ্যে আসার আগেই তাঁদের পরিবারের সম্পর্কে জেনেছিলেন। সেই সব বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর সঙ্গে রাজ্যপালের যোগের বিষয়ে, শ্রীচৈতন্যদেবের বিষয়ে কথা হয়েছে।
এর বাইরে কোনও রাজনৈতিক কথাবার্তা হয়নি বলেও জানান তিনি। বললেন, রাজনৈতিক কথা বলার জন্য তো রাজ্যপাল নন। তবে রাজ্যপাল বোসকে শান্তিকুঞ্জে তিনি আমন্ত্রণ জানিয়েছেন বলেও জানালেন দিব্যেন্দু অধিকারী। বললেন, “ওনাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছি, উনিও আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন। কবে আসবেন, সেটা তিনি নিজের নির্দিষ্ট নির্ঘণ্ট অনুযায়ী ঠিক করবেন। তবে তিনি আসবেন, এই কথা দিয়েছেন।”
