Digha Tourism: সমুদ্রস্নানে ‘না’, করোনাকে এড়িয়ে ঘরে ফিরতে পারলেই বাঁচেন দিঘার পর্যটকরা!

Purba Medinipur: সৈকতে এখন আইনের শাসকদের দাপাদাপি।

Digha Tourism: সমুদ্রস্নানে 'না', করোনাকে এড়িয়ে ঘরে ফিরতে পারলেই বাঁচেন দিঘার পর্যটকরা!
দিঘায় জারি নিষেধাজ্ঞা (নিজস্ব ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 03, 2022 | 1:41 PM

দিঘা: শীত পড়েছে। নতুন বছর শুরু হয়েছে। সব মিলিয়ে বাঙালি মেতেছিল আনন্দে। কিন্তু তারমধ্যেই বাদ সাধল করোনা। লাগাম ছাড়া সংক্রমণ বৃদ্ধিতে রাশ টানতে সরকারি তরফ একগুচ্ছে নির্দেশিকা জারি হয়েছে। এবার এই ঘোষণার পরই সৈকত শহর দিঘা, মন্দারমণি, তাজপুর ছাড়ার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন পর্যটকরা। শুরু হয়েছে ব্যাগ গোছানোর পালা।

বর্তমানে কেমন ছবি দিঘায়? নবান্নর নির্দেশিকার পরই রবিবার রাতের বাসে ভিড় বাড়তে শুরু করেছে। আজ সকাল থেকে স্টেশনগুলিতে পিলপিল করছে পর্যটকদের ভিড়। নেই তিল ধারনের জায়গা। ধীরে ধীরে খালি হয়ে যাচ্ছে হোটেলগুলি। জম-জমাট সমুদ্র সৈকতে কোথায় গিয়ে যেন খাঁ-খাঁ করছে নিরবতা। এবার আজ থেকে আংশিক লকডাউন ঘোষণা হওয়ায় কঠোর হয়েছে প্রশাসন। সমুদ্রস্নানে জারি হয়েছে নিষেধাজ্ঞা।

Digha (2)

ফাঁকা হয়ে গিয়েছে সমুদ্র সৈকত

সৈকতে এখন আইনের শাসকদের দাপাদাপি। নির্দেশ, ভিড় জমানো যাবে না সমুদ্রের উপকণ্ঠে। কিন্তু রাজ্য সরকারের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সৈকতে পাড়ি জমাচ্ছেন পর্যটকরা। সেই ভিড় হটাতে তৎপর প্রশাসন। দিঘা মোহনা ও দিঘা থানার পুলিশের চলছে জোরকদমে মাইকিং। পাশাপাশি মাস্ক পরার জন্য সচেতনতার প্রচার চলছে।

এদিকে সরকারী এই নির্দেশিকায় মন ক্ষুন্ন হয়েছে ভ্রমণ পিপাসু মানুষজন। তাই এবার বাড়ি ফেরার হিড়িক। ভিড় জমছে দিঘা রেল স্টেশনে, ওল্ড দিঘা ও নিউ দিঘার বাস স্ট্যান্ডে। সরকারি বেসরকারি বাসে লাইন। ঝোঁক বুঝে বেশি টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠছে।

যে কয়েকজন পর্যটক রয়েছেন তাঁদেরও মন খারাপ। বেলঘরিয়া থেকে আগত এক পর্যটক জানালেন, ” সকালবেলায় ভেবেছিলাম স্নান করব। কিন্তু প্রশাসন থেকে বলছে স্নান করা যাবে না। লকডাউন। আমরা যে কারণে এসেছি তা যদি সফল না হয় তাহলে থেকে কী করব? দিঘাতে মানুষ আসে সমুদ্রস্নান করতে। এখন যদি সেইটাই না হয় তাহলে থেকে আর কী লাভ?”

Digha (3)

ঘরে ফিরতে উদ্যোগ পর্যটকদের

মন খারাপ নিয়ে আরও এক পর্যটক বললেন, “লকডাউন ঘোষণা করার আগেই আমরা এখানে এসেছি। কিন্তু এখন আমাদের সমুদ্রে নামতে দিচ্ছে না। প্রশাসন ভুল করছে। এই সিদ্ধান্ত আগে জানানো উচিৎ ছিল। সময় দেওয়া উচিৎ ছিল। আমরা অনেক মানুষ এখানে এসেছি। আগে থেকে জানা থাকলে আসতাম না। এখানে আসতে টাকা-পয়সা খরচ হয়। ঘুরতে এলাম অথচ কোনও লাভই ওঠাতে পারলাম না।”

একা পর্যটক নয়, মন খারাপ হোটেল মালিকদের একজন জানালেন, এমনিতেই করোনার কারণে অনেক ক্ষতি হয়েছে। ভেবেছিলাম পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে হয়ত। কিন্তু হঠাৎ লকডাউনে ফের ক্ষতি মুখে পড়তে হবে তাঁদের। এই সময়টাই ব্যবসার সময়। এখনই দূর-দূরান্ত থেকে পর্যটকরা আসেন। কিন্তু ফের ক্ষতি মুখে পড়তে হবে তাঁদের।

রবিবার নবান্নের নির্দেশিকা ঘোষণার পরই দিঘা, মন্দারমণি, তাজপুর, শঙ্করপুর ছেড়ে গন্তব্যে ফিরতে শুরু করেছেন পর্যটকরা। বড়দিন এবং নতুন বছর উপলক্ষে বহু মানুষ ভিড় জমিয়েছিলেন দিঘা এবং লাগোয়া সৈকতগুলিতে। রবিবার দুপুরের পরও ভিড়ে জমজমাট ছিল দিঘা। কিন্তু সেই ভিড়ের চেহারা আচমকাই বদলে গেল সন্ধ্যায়। বাড়ির ফেরার জন্য বাস ডিপো, কাউন্টারগুলিতে টিকিট কাটার হিড়িক পড়েছে বলে জানাচ্ছেন স্থানীয়রা।

আরও পড়ুন: Local Train: দূরত্ববিধি শিকেয়, লোকাল ট্রেনে বাদুরঝোলা ভিড়! কোথায় সরকারি নির্দেশ?