TV9 Impact: ইলিশের নামে আর বিক্রি হবে না খয়রা-চন্দনা, TV9 বাংলায় খবর প্রকাশের পরই পদক্ষেপ দিঘায়
Digha: 'নকল' ইলিশ বিক্রির অভিযোগ উঠে আসতেই দিঘা ফিশারম্যান অ্যান্ড ফিস ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশন কর্তপক্ষ আসরে নামে। শুরু হয় অন্তর্তদন্ত। সেই অন্তর্তদন্তের রিপোর্টের ভিত্তিতে সেখানকার মাছ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠকে বসে কর্তৃপক্ষ। কী কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হল বৈঠকে? জেনে নিন।

দিঘা: দিঘার মোহনায় ঘুরতে যাওয়া পর্যটকদের ইলিশের নামে ‘বম্বে ইলিশ’ বলে পরিচিত আরব সাগরের খয়রা ও চন্দনা মাছ গচিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। আর দাম নেওয়া হচ্ছে ইলিশের মতোই চড়া। এই মাছগুলির গড়ন এতটাই একইরকম যে, সাধারণ মানুষের পক্ষে ঠাওর করা মুশকিল, কোনটা ইলিশ, কোনটা খয়রা, কোনটা চন্দনা। সেই ‘নকল’ ইলিশের রমরমা কারবারের অভিযোগ ইতিমধ্যেই প্রকাশিত হয়েছে টিভি নাইন বাংলায়। আর তারপরই এবার নড়েচড়ে বসল দিঘা ফিশারম্যান অ্যান্ড ফিস ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশন।
‘নকল’ ইলিশ বিক্রির অভিযোগ উঠে আসতেই দিঘা ফিশারম্যান অ্যান্ড ফিস ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশন কর্তপক্ষ আসরে নামে। শুরু হয় অন্তর্তদন্ত। সেই অন্তর্তদন্তের রিপোর্টের ভিত্তিতে সেখানকার মাছ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠকে বসে কর্তৃপক্ষ। বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, আগামী দিনে আর খয়রা ও চন্দনা বিক্রি করতে পারবেন না খুচরো ব্যবসায়ীরা। তবে যে খয়রা ও চন্দনা মাছ ইতিমধ্যেই মজুত রয়েছে খুচরো ব্যবসায়ীদের কাছে, তা বিক্রি করে ফেলার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। আগামী ১৬ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বিক্রি করে ফেলতে হবে সব খয়রা ও চন্দনা। তবে সেই মাছ ইলিশের নাম করে বিক্রি করা চলবে না। দামও যাতে ইলিশের মতো না হয়, সেটাও বলে দিয়েছে দিঘা ফিশারম্যান অ্যান্ড ফিস ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশন।
শহরে ভাল ইলিশের দেখা নেই। মাছে-ভাতে বাঙালি তাই ভাল ইলিশের টানে ছুটছেন দিঘায়। কিন্তু সেখানে গিয়েও ঠকছেন। কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা দিয়ে ইলিশ কিনছেন বটে, কিন্তু সেই স্বাদ একেবারেই উধাও। খোঁজখবর নিতে গিয়ে উঠে আসে মারাত্মক অভিযোগ। দিঘার মোহনাতেও ইলিশ নিয়ে লোক ঠকানোর কারবার চলছে বলে অভিযোগ উঠে আসছে। সেই খবর সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হতেই সমস্যা দূর করতে উদ্যোগী হল দিঘা ফিশারম্যান অ্যান্ড ফিস ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশন।
অ্যাসোসিয়েশনের তরফে ভাইস চেয়ারম্যান নবকুমার পয়ড়্যা বলেন, ‘ অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ের পর আমরা মোহনা এলাকার খুচরো মাছের দোকানগুলিতে খয়রা এবং চন্দনা মাছ বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছি। ১৬ সেপ্টেম্বরের মধ্যে মজুত থাকা মাছ শেষ করতে বলা হয়েছে দোকানিদের।’
