AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Nandigram: পাঁচ মাসে আগে গুজরাটে গিয়েছিলেন, পুজোর পরই নন্দীগ্রামের দুই পরিবারে শোকের ছায়া

Nandugram: শনিবার সকাল ১০টা নাগাদ কারখানায় ওয়েল্ডিংয়ের কাজ চলছিল। সেই সময় আচমকাই বয়লারে এক বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয়। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত পুলিশ ও উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। বিস্ফোরণের তীব্রতা ছিল অনেকটাই বেশি।

Nandigram: পাঁচ মাসে আগে গুজরাটে গিয়েছিলেন, পুজোর পরই নন্দীগ্রামের দুই পরিবারে শোকের ছায়া
মৃত দুই পরিযায়ী শ্রমিকImage Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Oct 06, 2025 | 12:47 PM
Share

নন্দীগ্রাম: পুজো শেষ হওয়ার পরই শোকের ছায়া নন্দীগ্রামের দুই পরিবারে। গুজরাটের কারখানায় বয়লার বিস্ফোরণে মৃত্যু নন্দীগ্রামের বাসিন্দা ২ পরিযায়ী শ্রমিকের। দুই যুবকের এমন আকস্মিক মৃত্যুতে কালীচরণপুর গ্রামে কান্নার রোল। একমাত্র উপার্জনকারীকে হারিয়ে এই পরিবারগুলি কার্যত অসহায়।

জানা গিয়েছে, গুজরাটের কচ্ছ জেলার পাডানার রুদ্রাক্ষ কোম্পানির একটি শিল্প কারখানায় গত শনিবার এক ভয়াবহ বয়লার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে, আর তাতেই প্রাণ হারিয়েছেন ২৫ বছরের প্রণব দিন্দা এবং ২৯ বছরের চন্দন দাস। তাঁরা দুজনেই নন্দীগ্রাম ১ নম্বর ব্লকের কালীচরণপুরের বাসিন্দা। স্থানীয় প্রশাসন এই খবর নিশ্চিত করেছে।

শনিবার সকাল ১০টা নাগাদ কারখানায় ওয়েল্ডিংয়ের কাজ চলছিল। সেই সময় আচমকাই বয়লারে এক বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয়। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত পুলিশ ও উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই ছিল যে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় চন্দন দাসের। গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় প্রণব দিন্দাকে। তাঁকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও, দুপুর নাগাদ সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়।

এই দুঃসংবাদ নন্দীগ্রামে পৌঁছতেই দুই প্রান্তিক পরিবারের মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে। প্রণব দিন্দার পরিবারে রয়েছে বৃদ্ধ বাবা-মা। একমাত্র অবলম্বন ছিলেন তিনিই। অন্যদিকে, চন্দন দাসের বাড়িতে রয়েছে তাঁর স্ত্রী ও দুই নাবালক সন্তান। মাত্র পাঁচ মাস আগে অনেক স্বপ্ন নিয়ে গুজরাটে গিয়েছিলেন তিনি। এই কঠিন সময়ে নিহতদের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন নন্দীগ্রাম ১ পঞ্চায়েত সমিতির বিরোধী দলনেতা তথা ব্লক তৃণমূলের সহ-সভাপতি শেখ আলরাজি। তিনি জানিয়েছেন, কারখানা কর্তৃপক্ষ (রুদ্রাক্ষ কোম্পানি) দুই পরিবারকেই ৭ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিয়েছে। রবিবার বিকেলে সেই ক্ষতিপূরণের অর্থ দুই পরিবারের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা পড়ে গিয়েছে।

তৃণমূলের সহ-সভাপতি শেখ আলরাজি জানিয়েছেন, গুজরাট থেকে নিহতদের দেহ দ্রুত ফেরানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। নন্দীগ্রাম থেকে পাঁচজন ইতিমধ্যেই গুজরাটে গিয়েছেন কফিনবন্দি মৃতদেহ ফিরিয়ে আনতে।