Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Suvendu Adhikari: রাইটার্স বিল্ডিংয়ে পত পত করে উড়বে বিজেপির ধ্বজ, ওম স্বস্তিক লেখা ঝান্ডা : শুভেন্দু

Suprakash Giri: উনি যে হাফ মন্ত্রী, হাফ মন্ত্রী বলে চিৎকার করছেন, ওনার বাড়িতেই হাফ ধুতি পরা মন্ত্রী ছিল, কটাক্ষ সুপ্রকাশ গিরির

Suvendu Adhikari: রাইটার্স বিল্ডিংয়ে পত পত করে উড়বে বিজেপির ধ্বজ, ওম স্বস্তিক লেখা ঝান্ডা : শুভেন্দু
রামনগরে শুভেন্দু অধিকারী। নিজস্ব চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 17, 2022 | 9:45 PM

পূর্ব মেদিনীপুর: রামনগরে রবিবার বিজেপির ‘গণতন্ত্র বাঁচাও’ কর্মসূচি ছিল। সেই কর্মসূচি থেকে ‘গেরুয়া বাংলা’ তৈরির ডাক দিলেন বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের ইতিহাসকে মনে করিয়ে দিয়ে এদিন শুভেন্দু বলেন, রাজ্যের সচিবালয়ে ওম, স্বস্তিক লেখা ধ্বজা উড়বে, সে দিন খুব দূরে নয়। রামনগর বাজারের পথসভা থেকে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “পশ্চিমবাংলায় একটি রাষ্ট্রবাদী সরকার হবে। রাইটার্স বিল্ডিংয়ের ছাদে গেরুয়া ঝান্ডা, আমাদের ধ্বজ, ওম স্বস্তিক লেখা ঝান্ডা পত পত করে করে উড়বে। এটাই হবে পশ্চিমবাংলার আসল ভবিষ্যৎ।”

এদিনের সভা থেকে শুভেন্দুর তোপ, এ রাজ্যে পুলিশ সাধারণ মানুষের জন্য নেই। শাসকদলের নেতাদের নিরাপত্তা দিতেই ব্যস্ত তারা। এই প্রসঙ্গে নাম না করে তুলে ধরেন মৎস্যমন্ত্রী অখিল গিরি ও তাঁর ছেলে সুপ্রকাশ গিরির প্রসঙ্গ। শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “পুলিশের কাজ হল রাজ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিরাপত্তা দেওয়া। এখানকার পুলিশের যেমন কাজ ওই মাছুয়া মন্ত্রী ও তাঁর ব্যাটার কথা শুনে ছোটাছুটি করা। দ্বিতীয় কাজ হল, বিরোধী দলনেতা, বিজেপির রাজ্য সভাপতি-সহ বিজেপির নেতাদের আটকে দেওয়া।”

শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্য, অখিল গিরি মন্ত্রী হলেও, আদপে তাঁর কোনও ক্ষমতা নেই। তাঁর কথায়, “এমন মন্ত্রী যাঁর ছাতাও নেই, জুতোও নেই। কোনও মৎস্যজীবীকে একটা হাঁড়ি বা জালও দেওয়ার ক্ষমতা নেই। তাঁর ব্যাটা আবার বড় নেতা। ‘১৮ সালের পর পার্টিতে এসে বিরাট নেতা। হাবভাব, চেহারা, বক্তব্য শুনলে মাথা খারাপ হয়ে যাবে। এই নেতারা বেশি থাকবে না। পালিয়ে যাবে। ২৪ সালেই গোড়া উপড়াব।”

এ প্রসঙ্গে সুপ্রকাশ গিরি বলেন, “আগে মাঠ ছাড়া শুভেন্দু অধিকারীর জনসভা হত না। এখন পথসভা করতে হচ্ছে। বুঝুন তা হলে লেভেলটা কোথায় নেমেছে। আর উনি তো রাজনৈতিক শালীনতা কবেই হারিয়েছেন। যদিও ওনার মতো বেইমান, গদ্দারের কাছ থেকে আমরা শালীনতা আশাও করি না। যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় না থাকলে ওনাকে কেউ চিনতই না, তাঁকে যখন কুৎসিত ভাষায় বলতে পারেন, আমি বা আমার বাবা তো কিছুই না। উনি যে হাফ মন্ত্রী, হাফ মন্ত্রী বলে চিৎকার করছেন, ওনার বাড়িতেই হাফ ধুতি পরা মন্ত্রী ছিল। প্রথম যখন শিশিরবাবু কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হন, হাফ মন্ত্রীই ছিলেন। আমার বাবা তো স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী। আর শিশিরবাবুর কাছে তো ফাইলই আসত না। “