AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

গভীর সমুদ্রে কোথায় আছে মাছ-কচ্ছপ? এবার এই যন্ত্রই জানাবে সবটা

Purba Medinipur: এবার সেই সব থেকে মুক্তি। ভারত সরকারের মৎস্য বিভাগ ও ইসরোর সহযোগিতায় নিয়ে এই আধুনিক মেশিন বসানোর কাজ শুরু করল রাজ্য মৎস্য দফতর। GSAT-6 স্যাটেলাইটের ব্যবহার করে ট্রান্সপন্ডার মেশিনের সাহায্যে সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়া মৎস্যজীবী বা ট্রলারগুলির সঙ্গে টু ওয়ে বা দ্বিমুখী যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

গভীর সমুদ্রে কোথায় আছে মাছ-কচ্ছপ? এবার এই যন্ত্রই জানাবে সবটা
এই যন্ত্রই বসবেImage Credit: Tv9 Bangla
| Edited By: | Updated on: May 31, 2025 | 9:36 PM
Share

পূর্ব মেদিনীপুর: স্যাটেলাইট নিয়ন্ত্রিত ডিভাইস লাগতে চলেছে বাংলার ট্রলার ও ফিসিং বোটে। সমুদ্রে মাছের অবস্থান জানানোর পাশাপাশি বিপদের আগাম সতর্কতা,জলপথে সন্দেহজনক গতিবিধির তথ্য ইসরো-কোস্টগার্ড ও প্রশাসনকে জানাবে এই যন্ত্র। নয়া এমনই উদ্যোগ নিল মৎস্যদফতর ও ইসরো। ইতিমধ্যে পূর্ব মেদিনীপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার পাঁচশোটি ট্রলারে পরীক্ষামূলক ভাবে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ‘টু-ওয়ে এমএসএস ট্রান্সপন্ডার’ মেশিন বসানোর কাজ শুরু করেছে মৎস্যদফতর।

মৎস্য দফতর সূত্রে খবর, প্রাথমিক ভাবে দক্ষিণ ২৪ পরগনার তিনশোটি ও পূর্ব মেদিনীপুরের দু’শোটি ট্রলারে এই অত্যাধুনিক প্রযুক্তির স্যাটেলাইট মেশিন বসানোর কাজ চলছে। এতদিন পর্যন্ত সমুদ্রে মাছ শিকার করতে যাওয়া ট্রলারগুলিতে যোগাযোগের জন্যে ওয়ারলেশ প্রযুক্তির উপর নির্ভর করতে হত। যার কারণে প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়া মৎস্যজীবীদের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ত। এর জেরে উদ্ধার কাজেও সমস্যা হত। অনেক সময় মৎস্যজীবীদের মৃত্যুর ঘটনাও ঘটত।

এবার সেই সব থেকে মুক্তি। ভারত সরকারের মৎস্য বিভাগ ও ইসরোর সহযোগিতায় নিয়ে এই আধুনিক মেশিন বসানোর কাজ শুরু করল রাজ্য মৎস্য দফতর। GSAT-6 স্যাটেলাইটের ব্যবহার করে ট্রান্সপন্ডার মেশিনের সাহায্যে সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়া মৎস্যজীবী বা ট্রলারগুলির সঙ্গে টু ওয়ে বা দ্বিমুখী যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো এই ট্রান্সপন্ডার মেশিন তৈরি করেছে। ট্রান্সপন্ডার হল ওয়্যারলেস ট্র্যাকিং ডিভাস যা রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি ব্যবহার করে যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে।

জেলা সহ মৎস্য অধিকর্তা(সামুদ্রিক) সুমন সাহা জানান, “এই ট্রান্সপন্ডার মেশিনের মাধ্যমে সমুদ্রের ২০০ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত নজরদারি করা সম্ভব। এই যন্ত্রের মাধ্যমে গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়া ট্রলারগুলির গতিবিধির উপর নজরদারির পাশাপাশি সমুদ্রে কোনও অংশে বেশি বা কম মাছ আছে সেই তথ্যও জানতে পারবেন মৎস্যজীবীরা। পাশাপাশি,ঘূর্ণিঝড় কিংবা আবহাওয়ার পূর্বাভাস যেমন ট্রলারের মৎস্যজীবীদের জানিয়ে আগাম সতর্ক করে দেবে ট্রলারে থাকা এই ডিভাইস।”

শঙ্করপুর ফিসারম্যান অ্যান্ড ফিস ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষে আশিষ ভঞ্জ বলেন, “এই বিশেষ ডিভাইস নিয়ে আমরা আশাবাদী। শঙ্করপুরে ৯০টি ট্রলারে মৎস্যদফতরের পক্ষ থেকে এই যন্ত্র বসানোর কাজ চলছে।”

টু ওয়ে এমএসএস ট্রান্সপন্ডার কী?

১) এটি একটি অত্যাধুনিক প্রযুক্তির রেডিও ট্র্যাকিং ডিভাইস। যা স্যাটেলাইট প্রযুক্তির মাধ্যমে সমুদ্রে মাছ শিকারের জন্যে মৎস্যজীবীদের উপর নজরদারি চালানোর পাশাপাশি প্রয়োজনীয় নির্দেশ পাঠানোর যন্ত্র।

২)ট্রান্সপন্ডার হলওয়্যারলেস ট্র্যাকিং ডিভাস। যা রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি ব্যবহার করে যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলে।

৩) ঝড় কিংবা আবহাওয়ার পূর্বাভাস যেমন ট্রলারের মৎস্যজীবীদের জানিয়ে আগাম সতর্ক করে।

৪) স্যাটেলাইট ছবির মাধ্যমে সমুদ্রে মাছের অবস্থানের পাশাপাশি সামুদ্রিক কচ্ছপ সহ অনান্য প্রাণীর অবস্থান জানিয়ে দেবে ট্রলারে থাকা মৎস্যজীবীদের বলেই দাবি।

৫)আন্তর্জাতিক জলসীমা পেরানোর অনেক আগেই সতর্ক করে দেবে ট্রলারের মৎস্যজীবীদের।