Khejuri: দোকানে একা পেয়ে মহিলার শাড়ি ধরে টান, থানায় অভিযোগ জানানোয় বেধড়ক মারধর
Khejuri: অভিযোগ, জামিনে ছাড়া পেয়েই মহিলাকে হুমকি দেন অভিযুক্ত সমীর মাইতি। গত ১২ জুন ওই ব্যক্তি বেশ কয়েকজন সহযোগীকে নিয়ে মহিলার দোকানে হামলা চালান। মহিলাকে বেধড়ক মারধর করা হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন মহিলার স্বামী।

খেজুরি: মহিলাকে দোকানে ঢুকে শারীরিক নিগ্রহ ও সম্মানহানির অভিযোগ। থানায় অভিযোগ জানালে পুনরায় মহিলাকে বেধড়ক মারধর করে দুষ্কৃতীরা। ঘটনাটি পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরির। আহত মহিলা নন্দীগ্রাম হাসপাতালে ভর্তি। এখনও অধরা দুষ্কৃতীরা।
ঘটনার সূত্রপাত গত ১৪ মে। ওইদিন সকালে মহিলার স্বামী বাড়িতে ছিলেন না। তিনি বাড়ির পাশেই একজনের বাড়িতে কাজ করছিলেন। মহিলা তাঁর বাড়ির পাশে দোকানে একা সবজি বিক্রি করছিলেন। অভিযোগ, হঠাৎই সমীর মাইতি নামে এক প্রতিবেশী মহিলাকে একা দেখে সম্মানহানির চেষ্টা করেন। মহিলার শাড়ি ধরে টানাটানি করেন। মহিলা কোনওরকমে ওই ব্যক্তির হাত থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে দৌড়ে স্বামীর কাছে চলে যান। পুরো ঘটনা স্বামীকে খুলে বলেন।
পরবর্তীকালে মহিলা এবং তাঁর স্বামী তালপাটিঘাট কোস্টাল থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে সমীর মাইতিকে গ্রেফতার করে তালপাটিঘাট কোস্টাল থানার পুলিশ। কাঁথি আদালত থেকে জামিনে ছাড়া পেয়ে বাড়ি ফেরেন অভিযুক্ত সমীর মাইতি।
অভিযোগ, জামিনে ছাড়া পেয়েই মহিলাকে হুমকি দেন অভিযুক্ত সমীর মাইতি। গত ১২ জুন সমীর মাইতি বেশ কয়েকজন সহযোগীকে নিয়ে মহিলার দোকানে হামলা চালান। মহিলাকে বেধড়ক মারধর করা হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন মহিলার স্বামী। তিনি তালপাটিঘাট কোস্টাল থানায় ফোন করেন। ঘটনাস্থলে ওই এলাকার ভিলেজ পুলিশ এবং সিভিক ভলান্টিয়ার পৌঁছলে অভিযুক্তরা মহিলাকে ছেড়ে পালিয়ে যান। অসুস্থ অবস্থায় মহিলাকে প্রথমে ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্র তাঁকে নন্দীগ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে স্থানান্তর করে। বর্তমানে নন্দীগ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নির্যাতিতা মহিলা চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ঘটনার খবর পেয়ে নন্দীগ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে উপস্থিত হন নন্দীগ্রাম ১ নম্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি বাপ্পাদিত্য গর্গ। তিনি অভিযোগ করেন, খেজুরি দু’নম্বর ব্লকের নিচকসবা গ্রাম পঞ্চায়েত বিজেপি দখল করার পরে ওই এলাকায় বিরোধীদের ওপরে প্রতিনিয়ত অত্যাচার চালানো হচ্ছে। নির্যাতিতা মহিলার স্বামী তৃণমূল কংগ্রেসের সমর্থক। তাই বিজেপি শাসিত দুষ্কৃতীরা তাঁর উপর এই হামলা চালিয়ে। যদিও বিজেপি নেতৃত্বে অভিযোগ অস্বীকার করেছে। স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের অভিযোগ, ঘটনার সঙ্গে বিজেপির কোনও যোগ নেই। দলকে কালিমালিপ্ত করতে এসব বলা হচ্ছে।
নির্যাতিত মহিলার স্বামী বলেন, “জামিনে ছাড়া পাওয়ার পরই কয়েকজনকে নিয়ে এসে আমার স্ত্রীকে বেধড়ক মারধর করেছে। আমার স্ত্রীকে মেরে ফেলার চেষ্টা করেছিল। আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। ”

