Purulia: নাবালিকার সঙ্গে সেক্স, বাচ্চা হতেই ঝাড়খণ্ডে বিক্রি করে দিল পাড়ার ‘দাদু’

Purulia: স্থানীয় সূত্রে খবর, কিশোরীর পরিবারের আর্থিক অবস্থা ভাল নয়। বাবা কাজের জন্য মহারাষ্ট্রে থাকেন। বাড়িতে নাবালক এক ছেলে ও দুই মেয়েকে নিয়ে থাকেন মা। তাঁদের বাড়িতে দীর্ঘদিন থেকেই যাতায়াত ছিল অভিযুক্তের।

Purulia: নাবালিকার সঙ্গে সেক্স, বাচ্চা হতেই ঝাড়খণ্ডে বিক্রি করে দিল পাড়ার ‘দাদু’
শোরগোল এলাকায় Image Credit source: TV-9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 16, 2024 | 7:58 PM

পুরুলিয়া: দুঃস্থ পরিবারের অসহয়তার সুযোগ নিয়ে বাড়ির মেয়ের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক। শেষে নাবালিকা অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে নিজেই নার্সিংহোমকে হাত করিয়ে প্রসবও করান। তারপর সদ্যোজাত শিশু কন্যাকে বিক্রি করে দেন ঝাড়খণ্ডে। চাঞ্চল্যকর অভিযোগ পুরুলিয়ার কেন্দা থানা এলাকার এক প্রৌঢ়ের বিরুদ্ধে। নাবালিকার বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই বছর পঞ্চান্নর ওই প্রৌঢ়কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনায় তিনি ছাড়াও নার্সিংহোমের দুই কর্মী ও এক মহিলাকেও গ্রেফতার করেছে কেন্দা থানার পুলিশ। 

স্থানীয় সূত্রে খবর, কিশোরীর পরিবারের আর্থিক অবস্থা ভাল নয়। বাবা কাজের জন্য মহারাষ্ট্রে থাকেন। বাড়িতে নাবালক এক ছেলে ও দুই মেয়েকে নিয়ে থাকেন মা। তাঁদের বাড়িতে দীর্ঘদিন থেকেই যাতায়াত ছিল অভিযুক্তের। অভিযোগ, সেই সুযোগেই পাড়ার ওই দাদু ঘনিষ্ঠতা তৈরি করে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে। সুযোগ বুঝে বাড়ির এক মেয়ের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে ওই কিশোরী। কোটশিলা থানার একটি নার্সিংহোমে তাঁর প্রসবও করায় অভিযুক্ত। এরপর নাবালিকার সদ্যজাত শিশুকন্যাকে ঝাড়খণ্ডে বিক্রি করে দেওয়া হয়। খবর পেয়ে বাড়ি ফিরে আসেন নাবালিকার বাবা। বাড়ির লোকেদের থেকে সব জেনে থানায় ডায়েরি করেন। এদিকে পরিস্থিতি হাতের বাইরে যাচ্ছে দেখে ততক্ষণে টাকা দিয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ারও চেষ্টা করেন অভিযুক্ত প্রৌঢ়। কিন্তু, শেষ রক্ষা হয়নি। ১৫ মার্চ তাঁকে ও তাঁর এক সহযোগীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। শুক্রবার তাঁদের পুরুলিয়া জেলা আদালতে তোলা হলে ৫ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। 

যদিও অভিযুক্ত প্রৌঢ় এদিন ক্যামেরার সামনে নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেন। জেলা পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, “ঘটনার সঙ্গে যুক্ত বলে যাদের নাম পেয়েছিলাম তাঁদের গ্রেফতার করেছি। নার্সিংহোমের লোকজনকেও ধরা হয়েছে। যে বাচ্চাটাকে বিক্রি করা হয়েছিল আমরা তাকে উদ্ধার করেছি।”