পুরুলিয়া: ঝালদা কাউন্সিলর খুনের পর প্রথম থেকেই পুলিশি তদন্তের ওপর অনাস্থা প্রকাশ করেছিল পরিবার। নির্দিষ্ট করে অভিযোগ উঠেছিল ঝালদার আইসি সঞ্জীব ঘোষের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার দুপুরে সেই আইসি হাজিরা দিলেন সিবিআই-এর অস্থায়ী ক্যাম্পে। তপন কান্দু খুন ও অন্যতম প্রত্যক্ষদর্শী নিরঞ্জন বৈষ্ণবের অস্বাভাবিক মৃ্ত্যু মামলার তদন্ত করছে সিবিআই। সকাল ১০ টা তিনি সিবিআই-এর অস্থায়ী ক্যাম্পে পৌঁছন। ঝালদার আইসি-র ভূমিকা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ ছিল কলকাতা হাইকোর্টেরও। কলকাতা হাইকোর্ট প্রশ্ন তুলেছিল, যেখানে আইসি-র ভূমিকা নিয়ে এত প্রশ্ন উঠছিল, সেখানে রাজ্য পুলিশ কেন আইসিকে হেফাজতে নেয়নি? তাঁর যে মোবাইল ফোন থেকে হুমকি ফোন গিয়েছিল, সেটি কেন বাজেয়াপ্ত করা হয়নি? তদন্তভার হাতে নেওয়ার তিন দিনের মধ্যে আইসি-কে তলব করল সিবিআই। সূত্রের খবর, আইসির বয়ান রেকর্ড করা হবে, ভিডিওগ্রাফি করা হবে। প্রশাসনিক পদে থেকে এক জন ব্যক্তি কীভাবে একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকে দল বদলের জন্য চাপ দিতে পারেন, সেটাই খতিয়ে দেখতে চাইছেন সিবিআই আধিকারিকরা।
এদিন সাংবাদিকদের এড়াতে কালো কাচ তলা একটি গাড়িতে সিবিআই-এর অস্থায়ী ক্য়াম্পে আসেন ঝালদা থানার আইসি। তাঁর গাড়িতে পুলিশের স্টিকারও লাগানো ছিল না।
তপন কান্দুর স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দু প্রথম থেকেই এই ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রকাশ করে আসছিলেন। পুলিশের তরফ থেকেও তাঁদের হুমকি দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ করছিলেন তিনি। আইসি-র বিরুদ্ধেই নির্দিষ্ট করে অভিযোগ ছিল তাঁর। পুরভোটে তপন কান্দু জিতলেও, আইসি তাঁকে বারবার তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছিলেন বলে অভিযোগ। এক্ষেত্রে উল্লেখ্য, কলকাতা হাইকোর্টেও এই বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তোলে। তাই সিবিআই তদন্ত নেওয়ার পরই প্রথমে এই আইসি-কেই জিজ্ঞাসাবাদ করতে চেয়েছিল।
ঝালদায় কাউন্সিলর খুনের তদন্তেও টেকনিক্যাল এক্সপার্টের সাহায্য নিচ্ছে সিবিআই। ঝালদাতে নিয়ে আসা হয়েছে তিন বিশেষজ্ঞকে। যারা অভিযুক্ত ও সন্দেহের তালিকায় থাকা ব্যক্তিদের কল ডিটেইলস খতিয়ে দেখছেন। খতিয়ে দেখেছেন এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ।
আরও পড়ুন: রাতভর হাঁসখালি থানায় নথি ঘেঁটে তথ্য তালাস, ধৃত ২ জনকে হেফাজতে পেতে চায় সিবিআই