Tapan Kandu: কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু খুনের মামলায় জমিন পেলেন ২ জন
Tapan Kandu: প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ১৩ মার্চ বিকেলে ঝালদা পুরসভার কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুকে হত্যার অভিযোগ ওঠে। ঝালদা- বাঘমুন্ডি রাজ্য সড়কের উপরে গোকুলনগর এলাকায় তিন দুষ্কৃতী বাইকে চড়ে এসে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করে বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় সঙ্গে জড়িতে থাকার অভিযোগে চারজনকে গ্রেফতার করা হয়।
ঝালদা: কংগ্রেস কাউন্সিলর দু’জনকে শর্তসাপেক্ষে জামিন দিল কলকাতা হাইকোর্ট। গত বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় ও অপূর্ব সাহা রায়ের ডিভিশন বেঞ্চ অভিযুক্ত নরেন কান্দু ও আশিফ বসির খানকে জামিনের নির্দেশ দেন। অভিযুক্তদের জামিনের ক্ষেত্রে একাধিক শর্ত দিয়েছে আদালাত। তাঁদের ১ লক্ষ টাকার বন্ড জমা দিতে হবে। দু’জন স্থানীয় জামিনদার ছাড়াও সিবিআইকে নিজেদের দু’টি মোবাইল নম্বর দিতে হবে। আদালতে হাজিরা দেওয়া ছাড়া সল্টলেক পুরসভা এলাকার বাইরে অভিযুক্তরা যেতে পারবেন না। সিজিও কমপ্লেক্সের দুই কিলোমিটারের মধ্যেই থাকতে হবে তাঁদের। এরপর হাইকোর্টের নির্দেশ জেলা আদালতে আসলে মঙ্গলবার অভিযুক্তদের জেল থেকে মুক্তি দেওয়া হয়।
জামিনের দিন স্বামীকে জেল থেকে নিতে এসেছিলেন নরেনকান্দুর স্ত্রী বাবিন কান্দু। তিনি বলেন, “আমার স্বামী নির্দোষ। আইনের উপর ভরসা আছে। উনি এই ঘটনার সঙ্গে কোনও ভাবেই যুক্ত নয়।”
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ১৩ মার্চ বিকেলে ঝালদা পুরসভার কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুকে হত্যার অভিযোগ ওঠে। ঝালদা- বাঘমুন্ডি রাজ্য সড়কের উপরে গোকুলনগর এলাকায় তিন দুষ্কৃতী বাইকে চড়ে এসে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করে বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় সঙ্গে জড়িতে থাকার অভিযোগে চারজনকে গ্রেফতার করা হয়। তার মধ্যে নিহত কাউন্সিলর তপন কান্দুর দাদা নরেন কান্দু ও আশিফ বসির খানও ছিলেন বলেও অভিযোগ। সেই বছরের ৪ই এপ্রিল কলকাতা হাইকোর্ট এই খুনের মামলার ভার যায় সিবিআই-এর উপর। এরপর ১৩ই জুন ৮৯ দিনের মাথায় পুরুলিয়া জেলা আদালতে প্রথম সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট জমা করে সিবিআই। পরে ফাইনাল চার্জশীট দেয়। দীর্ঘ দু’বছরের বেশি সময় ধরে এই দুই অভিযুক্ত জেলা সংশোধনাগারে ছিলেন। ইতিমধ্যেই এই মামলার বেশ কিছু সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ হয়। ঘটনার সঙ্গে যুক্ত এখনও দু’জন অভিযুক্ত জেলেই রইলেন তার মধ্যে নরেন কান্দুর ছেলে দীপক কান্দু, কলেবর সিং।