Councillor Murder: ঝালদায় কাউন্সিলর খুনের তদন্তে আগ বাড়িয়েই সরেজমিনে সিআইডি! প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলার সম্ভাবনা
Councillor Murder: ঝালদার কাউন্সিলর খুনে গ্রেফতার করা হয়েছে মূল অভিযুক্তকে। দীপক কান্দু নামে কাউন্সিরের ভাইপোকেই গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুরুলিয়া: পানিহাটির পর ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলর খুনেও সিআইডি তদন্ত। মঙ্গলবার রাতেই ঝালদায় যায় সিআইডি-র প্রতিনিধি দল। আজ, বুধবার ঘটনাস্থলে যেতে পারেন তদন্তকারীরা। যদিও কংগ্রেসের তরফ থেকে সিবিআই তদন্তের দাবি করা হয়েছে। তারই মাঝে তড়িঘড়ি ঝালদার উদ্দেশে রওনা দেয় সিআইডির দল। একজন স্পেশ্যাল সুপারিন্টেডেন্ট অফিসারের নেতৃত্বে এই দলটি পৌঁছেছে। থানায় যাঁরা তদন্তকারী অফিসার ছিলেন, তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন তদন্তকারীরা। ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পাশাপাশি পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও কথা বলতে পারেন তাঁরা। যদিও সরকারি ভাবে তদন্তভার এখনও সিআইডি নেয়নি।
ঝালদার কাউন্সিলর খুনে গ্রেফতার করা হয়েছে মূল অভিযুক্তকে। দীপক কান্দু নামে কাউন্সিরের ভাইপোকেই গ্রেফতার করা হয়েছে। পুরভোটে ঝালদার ২ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল প্রার্থী ছিলেন দীপক। তপন কান্দুর বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছিলেন দীপক। অর্থাৎ পুরভোটে ছিল কাকা-ভাইপোর লড়াই হয়। কেবল রাজনৈতিক লড়াই নয়, দুই পরিবারের মধ্যে সমস্যাও ছিল দীর্ঘদিনের। স্থানীয় সূত্রে তেমনটাই জানা যাচ্ছে।
দীপক পুরভোটে তপনের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর পর থেকে অশান্তি আরও বাড়ে। এরপরই পুরভোটের ফলপ্রকাশের পর তা ঠান্ডা লড়াইয়ের চেহারা নেয়। এই খুনের ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ প্রথম থেকেই এই বিষয়টি আঁচ করেছিল। প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদে বেশ কিছু তথ্যও উঠে আসে তদন্তকারীদের হাতে। প্রথমে দীপক কান্দু ও তাঁর বাবাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়। তাঁদের কথাতেও বেশ কিছু অসঙ্গতি ছিল বলে পুলিশ জানিয়েছে। তারপরই ফাঁস হয় আসল রহস্য।
পারিবারিক বিবাদের সঙ্গে রাজনৈতিক টানাপোড়েন- এই খুনের নেপথ্যে কাজ করেছে দুটি বিষয়ই। শেষমেশ মঙ্গলবার রাতে এই ঘটনায় নিহত কাউন্সিলরের ভাইপো দীপককে গ্রেফতার করা হয়। এই ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়ে সোচ্চার হয়েছেন অধীর চৌধুরীও। তবে তারইমাঝে সিআইডির প্রতিনিধি দলের ঝালদায় আসা, একটা নতুন সম্ভাবনা উস্কে দিচ্ছে।
তবে নিহত কাউন্সিলরের স্ত্রী এখনও পুলিশি তদন্তে ভরসা রাখছেন না। প্রথম থেকেই ঝালদার আই সি-র বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছিলেন তিনি। ভাইপোর গ্রেফতারের পরও তিনি প্রশ্ন তোলেন, যদি আইসি তদন্তে থাকে, তবে তা কতটা বিশ্বাসযোগ্য হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন থাকছে। তপন কান্দুর স্ত্রী পূর্ণিমা, আইসি-কে সরানোর দাবি তুলেছেন। একজন গ্রেফতার হলেও তিনি এই তদন্তে খুশি নন বলে জানিয়ে দেন। তিনি বলেন আইসি-কে সরিয়ে প্রকৃত তদন্ত হোক।