পুরুলিয়া: ঝালদাকাণ্ডে এখনও অধরা আততায়ী। রবিবার সন্ধ্যায় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু। দু’দিন কাটতে চলেছে, অথচ এখনও কাউকে ধরেই পারেনি পুলিশ। ইতিমধ্যেই পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে নিহতের পরিবার। তপন কান্দুর স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দু ইতিমধ্যেই ঝালদা থানার আইসির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। একইসঙ্গে তাঁর অভিযোগের আঙুল তুলেছেন রাজ্যের শাসকদলের দিকে। এবার ঝালদার কাউন্সিলর মৃত্যুর ঘটনায় নয়া মোড়। ঝালদার আইসির বিরুদ্ধে পুলিশ সুপারকে চিঠি লিখলেন পূর্ণিমা। এই চিঠিকে এফআইআর হিসাবে বিবেচনা করার কথাও বলেছেন তিনি।
এবার পুরভোটে ঝালদা পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডে ভোটে জেতেন কংগ্রেসের প্রার্থী পূর্ণিমা কান্দু। ২ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী হন কংগ্রেসের তপন কান্দু। পূর্ণিমা কান্দু চিঠিতে লেখেন, ‘নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার পর থেকেই ঝালদা থানার আইসি সঞ্জীব ঘোষ আমার ও আমার স্বামীর উপর নানাভাবে চাপ দিচ্ছিল। আমরা যেন তৃণমূলের হয়ে ভোটে লড়ি। সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় ভয় দেখাচ্ছিল। এ নিয়ে আমাদের দলের জেলা সভাপতি নেপাল মাহাতো কলকাতা হাইকোর্টে রিট পিটিশনও দাখিল করেন।’
তপনবাবুর স্ত্রীর অভিযোগ, ‘আমার দৃঢ় বিশ্বাস ঝালদা থানার আইসি সঞ্জীব ঘোষ, ২ নম্বর ওয়ার্ডে পরাজিত তৃণমূল প্রার্থী দীপক কান্দু-সহ বেশ কয়েকজনের যোগসাজশেই এই হত্যাকাণ্ড হয়েছে। রবিবার আমার স্বামী সান্ধ্যভ্রমণে বেরিয়েছিলেন। সে সময় পুলিশের নাকাচেকিং পোস্টের সামনে তিনজন দুষ্কৃতী বাইকে চেপে এসে গুলি করে।… এই হত্যাকাণ্ড সংগঠিত করতে ঝালদা থানার আইসি যুক্ত থাকায় আপনার দ্বারস্থ হলাম। এই অভিযোগকে এফআইআর হিসাবে গণ্য করা হোক।’
ইতিমধ্যেই কংগ্রেস নেতা আব্দুল মান্নান জানিয়েছেন, রাজ্য পুলিশ ও সিআইডি তদন্তে তাঁদের ভরসা নেই। তাই কোর্টের তত্ত্বাবধানে সিবিআই তদন্তের দাবি জানান তিনি। এদিনই পুরুলিয়া যাচ্ছেন কংগ্ৰেসের এক প্রতিনিধি দল। থাকছেন আব্দুল মান্নান, সন্তোষ পাঠকরা। সেখানে যাওয়ার আগে সিঙ্গুরে নিজের বক্তব্য তুলে ধরেন মান্নান। আব্দুল মান্নান বলেন, “পুরুলিয়ার ঝালদায় কংগ্ৰেস কাউন্সিলর তপন কান্দু ও পানিহাটির তৃণমূল কাউন্সিলর অনুপম দত্তের খুনের ঘটনায় দু’টি ক্ষেত্রেই সিবিআই তদন্তের দাবি জানাচ্ছি। অনুপমের পরিবার চাইলে আমরা আইনি সহায়তাও করব।”
আরও পড়ুন: Visva Bharati University: আমরণ অনশনে পড়ুয়া, চাপের মুখে নোটিস প্রত্যাহার বিশ্বভারতীর