AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Purulia: তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে প্রশাসক নিয়োগ করে পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের, বিজেপির পর এবার আদালতে যেতে চলেছে কংগ্রেসও

Purulia: তৃণমূল পরিচালিত রঘুনাথপুর পৌরসভায় দুর্নীতির অভিযোগ তুলে গত ২৪ এপ্রিল তৃণমূলের বিক্ষুব্ধ ৬ কাউন্সিলর ও কংগ্রেসের ১ কাউন্সিলর অনাস্থা চিঠি জমা করেন। পৌরপ্রাধন অনাস্থা না ডাকায় উপ পৌরপ্রধানকেও অনাস্থার চিঠি দেওয়া হয়।

Purulia: তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে প্রশাসক নিয়োগ করে পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের, বিজেপির পর এবার আদালতে যেতে চলেছে কংগ্রেসও
রঘুনাথপুর পৌরসভাImage Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: May 23, 2025 | 5:44 PM
Share

পুরুলিয়া:  রঘুনাথপুর পৌরসভায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জেরে প্রশাসক নিয়োগ করে পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর। তারই বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন বিজেপির কাউন্সিলর। প্রশাসক বসানোয় বিক্ষুব্ধ তৃণমূল কংগ্রেসের কাউন্সিলররা খুশি হলেও বিজেপি ও কংগ্রেস মোটেই খুশি নয়।ইতিমধ্যেই বিজেপি আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে।আইনি পথে যাওয়ার কথা ভাবছে কংগ্রেস।

তৃণমূল পরিচালিত রঘুনাথপুর পৌরসভায় দুর্নীতির অভিযোগ তুলে গত ২৪ এপ্রিল তৃণমূলের বিক্ষুব্ধ ৬ কাউন্সিলর ও কংগ্রেসের ১ কাউন্সিলর অনাস্থা চিঠি জমা করেন। পৌরপ্রাধন অনাস্থা না ডাকায় উপ পৌরপ্রধানকেও অনাস্থার চিঠি দেওয়া হয়। কিন্তু তিনি কোনও কর্ণপাত করেননি বলে অভিযোগ। অনাস্থা না ডাকায় ৩জন কাউন্সিলর অনাস্থার তলবি সভা ডাকেন। গত ২১তারিখ তলবি সভা হওয়ার কথা থাকলেও তার ২দিন আগে রাজ্যের নগরোন্নয়ন দফতর থেকে চিঠি দিয়ে পৌরসভা ভেঙে দেওয়া হয় পাশাপাশি প্রশাসক নিয়োগ করে। প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ করা হয় রঘুনাথপুর মহকুমাশাসককে। তারপরের দিনই মহকুমা শাসক দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

এই প্রশাসক নিয়োগের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হয় পৌরসভার ৭নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি কাউন্সিলর দীনেশ শুক্লা। তিনি গতকাল কলকাতা উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হন। তাঁর অভিযোগ, তৃণমূল কংগ্রেস ও কংগ্রেস মিলে অনাস্থা ডাক দেওয়ায় প্রশাসক নিয়োগ করা হল। তাঁর প্রশ্ন, পৌর আইনে নির্বাচিত বোর্ডকে ভেঙে এই ভাবে নিয়োগ করা যায়?

প্রশাসক নিয়োগের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছেন, ১৩নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস কাউন্সিলার দেবযানী প্রমাণিক। তিনি বলেন, “রঘুনাথপুর পৌরসভায় তৃণমূলের কাটমানির ভাগাভাগির জন্য নির্বাচিত বোর্ডকে ভেঙে দেওয়া হল। এটা গণতন্ত্রের ওপর আঘাত করা হল। এই প্রশাসক নিয়োগ করায় রঘুনাথপুর পৌর এলাকার মানুষকে অপমান করেছে। যারা দুর্নীতি করেছে, তাঁদের বিরুদ্ধে কেন কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হল না।”

যদিও ১নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর প্রণব দেওঘরিয়ার বক্তব্য, “আমাদের জয় হয়েছে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে দলের জেলা সভাপতিকে অভিযোগ করেছিলাম কোনও সুরাহা করেননি, বাধ্য হয়েই অনাস্থা পত্র জমা করেছিলাম। তলবি সভা না ডাকায় আমরা ৩ জন সদস্য তলবিসভা ডাকতে বাধ্য হই। তার ২দিন আগেই দুর্নীতিগ্রস্ত পৌরপ্রধানকে সরিয়ে দেওয়ায় আমাদের নৈতিক জয় হয়েছে।”

২০২২সালে রঘুনাথপুর পৌরসভার মোট ১৩টি আসনের মধ্যে তৃণমূল কংগ্রেস ১০, কংগ্রেস ২, বিজেপি ১টি আসন পায়। তৃণমূলের তরণী বাউড়ি পৌরপ্রধান হন। ৩বছরের মাথায় দলেরই ৬জন কাউন্সিলর তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতিস্বজনপোষণ ও দুর্ব্যবহারের অভিযোগ তুলে দলের জেলা সভাপতির দ্বারস্থ হন। অভিযোগ প্রাক্তন সভাপতি কোনও পদক্ষেপ না নেওয়ায় অনাস্থার চিঠি দেন মহকুমা শাসকের কাছে।