Jhalda Councillor Murder: ‘ওদের যেন ফাঁসি হয়…’, শুভেন্দুকে সামনে পেয়ে ক্ষোভ উগরে দিলেন তপন কান্দুর স্ত্রী
Suvendu Adhikari in Jhalda: রাজ্যের অস্বস্তি আরও বাড়িয়ে দিলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রবিবার তিনি নিহত কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুর বাড়িতে যান। সেখানে তাঁর স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দু সহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন শুভেন্দু। তাঁদের সব রকম সাহায্যের প্রতিশ্রুতিও দেন তিনি।
ঝালদা : ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুর খুনের (Jhalda Congress Councillor Murder) ঘটনা চাপ বাড়ছে রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে। ঝালদা পুরসভা ছিল ত্রিশঙ্কু অবস্থান। কংগ্রেস ও তৃণমূলের সমসংখ্যক আসন ছিল। সেই কারণেই কি খুন হতে হল তপন কান্দুকে? এমন একটি তত্ত্ব শুরু থেকেই উঠতে শুরু করেছে। তার উপর এমনও শোনা যাচ্ছে, তপন কান্দুর উপর নাকি তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছিল। সব মিলিয়ে ঝালদার ঘটনায় বেশ অস্বস্তিতে মমতার সরকার। এবার সেই অস্বস্তি আরও বাড়িয়ে দিলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রবিবার তিনি নিহত কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুর বাড়িতে যান। সেখানে তাঁর স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দু সহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন শুভেন্দু। তাঁদের সব রকম সাহায্যের প্রতিশ্রুতিও দেন তিনি।
শুভেন্দু অধিকারীকে পাশে পাওয়ার পর তপন কান্দুর স্ত্রী জানিয়েছেন, “উনি আমাদের পরিবারের পাশে এসে দাঁড়ালেন, সহযোগিতা করলেন, এতে আমি খুব খুশি হয়েছি। তিনি কথা দিয়েছেন, আমাদের সঙ্গে তিনি আছেন, পরিবারের সঙ্গে আছেন। আমি এটাই অনুরোধ করে যে দোষীরা যেন ধরা পড়ে এবং তাদের যেন উপযুক্ত শাস্তি হয়। তাদের যদি শাস্তি না হয়, তাহলে আমার স্বামীর আত্মা শান্তি পাবে না। আমি চাই ওদের যেন ফাঁসি হয়। আমার যা হয়েছে, তা যেন আর অন্য কারও সঙ্গে না হয়।” উল্লেখ্য, রবিবার বিকেলে তপন কান্দুর বাড়ি যাওয়ার আগে শুভেন্দু অধিকারী সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো, বিধায়ক নরহরি মাহাতো, সুদীপ মুখোপাধ্যায় ও অন্যান্য দলীয় কর্মীদের নিয়ে স্বল্প দৈর্ঘ্যের একটি মিছিলও করেন।
তপন কান্দুর স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দুর সঙ্গে কথা বলার পর সেখান থেকে মৃত নিরঞ্জন বৈষ্ণবের বাড়িতেও যান বিরোধী দলনেতা। সেখানেও ওই পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। উল্লেখ্য, ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলর খুনের ঘটনায় তদন্তের জাল গোটাতে শুরু করেছেন সিবিআই গোয়েন্দারা। ইতিমধ্যেই জাবির আনসারী নামে এক ব্যক্তির খোঁজ চালাচ্ছে সিবিআই। ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা ওই ব্যক্তি সুপারি কিলার। এই জাবির আনসারীই তপন কান্দুকে খুন করেছিল বলে সন্দেহ করছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা।