শুভেন্দুর পাশে রাজীব, হাওড়ায় পোস্টার মারল ‘দাদার অনুগামীরা’

সূত্রের খবর, এদিন কোনও দলীয় প্রতীক ছাড়া শুভেন্দু ও রাজীবের পোস্টার যায়। যাতে লেখা, ‘আমরা দাদার অনুগামী। দাদা তুমি এগিয়ে চল আমরা তোমার সাথে আছি।' তবে কে বা কারা এই পোস্টার লাগিয়েছে তা জানা যায়নি।

শুভেন্দুর পাশে রাজীব, হাওড়ায় পোস্টার মারল 'দাদার অনুগামীরা'
শুভেন্দুর পাশে রাজীব, হাওড়ায় পোস্টার মারল 'দাদার অনুগামীরা'
Follow Us:
| Updated on: Dec 12, 2020 | 7:07 PM

হাওড়া: হুবহু যেন শুভেন্দুর পদাঙ্ক অনুসরণ করেই এগোচ্ছেন রাজীবও। এতদিন ‘দাদার অনুগামীদের’ পোস্টার পড়েছিল রাজ্যজুড়ে। সেই ‘দাদা’ যে প্রাক্তন পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) তা সকলেরই জানা। এবার সেই পোস্টারে জুড়ল রাজ্যের আরও এক মন্ত্রীর ছবি। তিনি বনমন্ত্রী রাজীব ব্যানার্জি (Rajib Banerjee)।

এদিন হাওড়ার শিবপুর বিধানসভা এলাকার রামরাজাতলায় দাদার অনুগামীদের এই পোস্টার দেখতে পাওয়া যায়। তবে এই প্রথমবার শুভেন্দুর পাশাপাশি আরেক বিক্ষুব্ধ মন্ত্রী রাজীবেরও ছবি ছিল সেখানে। শুভেন্দু যে দলের থেকে অনেকটাই দূরে সরে এসেছেন তা নিজেই স্পষ্ট করে দিয়েছেন তিনি। তবে রাজীব একাধিকবার নিজের অসন্তোষের কথা ব্যক্ত করলেও এখনও সরাসরি দলের বিরুদ্ধে কোনও অবস্থান নেননি। মন্ত্রিত্বও ছাড়েননি। তবে এদিনের পোস্টারের পর জল্পনা বাড়তে শুরু করেছে রাজনৈতিক মহলে।

সূত্রের খবর, এদিন কোনও দলীয় প্রতীক ছাড়া শুভেন্দু ও রাজীবের পোস্টার যায়। যাতে লেখা, ‘আমরা দাদার অনুগামী। দাদা তুমি এগিয়ে চল আমরা তোমার সাথে আছি।’ তবে কে বা কারা এই পোস্টার লাগিয়েছে তা জানা যায়নি।

আরও পড়ুন: টক্করে বিনয়-বিমল, রবিবার সভা পাল্টা সভায় উত্তপ্ত হবে পাহাড়!

কিছুদিন আগে প্রথমে শুভেন্দু অধিকারীর ব্যানার দেখা গিয়েছিল হাওড়া শহরে। এরপর বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের পোস্টার লাগানো হয়েছিল শহরের বিভিন্ন জায়গায়, এমনকী নবান্নের কাছে। দুই নেতা এখন রাজনৈতিক চর্চার কেন্দ্রবিন্দু। দলের বিরুদ্ধে বেসুরো সুর দু’জনের গলাতেই। যেখানে আজ দু’জনের একসাথে ছবি দেওয়া পোস্টার দেখা গেছে, সেই বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক জটু লাহিড়ী বেসুরো হয়েছিলেন কিছুদিন আগে। দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন। প্রশান্ত কিশোরকে ‘ভাড়াটে’ বলে কটাক্ষ করেছিলেন প্রবীণ এই রাজনীতিবিদ। প্রশংসা করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারীর। হাওড়া বালির বিধায়ক বৈশালী ডালমিয়াও সম্প্রতি দল ছাড়ার ইঙ্গিত দিতে শুরু করেছেন। সব মিলিয়ে, দলের অন্দরে থাকা বিক্ষুব্ধ বিধায়করাই এখন তৃণমূল কংগ্রেসের সবচেয়ে বড় মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠছেন।

আরও পড়ুন: পুরোপুরি সঙ্কটমুক্ত বুদ্ধবাবু, সন্ধ্যায় খেলেন স্যুপ, সঙ্গে লাল চা