অবরোধে আটকে গেল ভ্যাকসিন-কনভয়, মন্ত্রী ছুটলেন লাঠি হাতে!
শেষে পুলিসের মদতে কোনও রকমে গন্তব্যে পৌঁছল টিকা বোঝাই সেই ভ্যান। তবে এ দিনের অবরোধ ঘিরে জাতীয় সড়কের পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
পূর্ব বর্ধমান: মন্ত্রীর অবরোধে আটকে গেল ভ্যাকসিন (Covid Vaccine) যাত্রা। শেষে পুলিসের সাহায্যে কোনও রকমে গন্তব্যে পৌঁছল টিকা বোঝাই সেই ভ্যান। এ দিনের অবরোধ ঘিরে জাতীয় সড়কের পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। কর্মীদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে এক সময় লাঠি হাতে মঞ্চ থেকে নেমে আসেন স্বয়ং সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী (Siddiqullah Chowdhury)। রীতিমতো তাড়া করে ভিড় ছত্রভঙ্গ করতে হয় তাঁকে।
কলকাতার বাগবাজার থেকে বিশেষ ইনসুলেটে ভ্যানে করে জেলায় জেলায় ভ্যাকসিন পাঠানোর কাজ জোরকদমে শুরু হয়েছে বুধবার থেকেই। শনিবার থেকে দেশজুড়ে ‘ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কার’দের টীকাকরণ শুরু হবে। এ দিন সেই মতো জাতীয় সড়ক ধরে বর্ধমান থেকে বাঁকুড়া যাচ্ছিল ভ্যাকসিন বোঝাই ভ্যান। সেই সময় গলসীতে কেন্দ্রীয় কৃষি আইনের প্রতিবাদে পথ অবরোধ করছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী। জমিয়তে উলেমায়ে হিন্দের কয়েক হাজার কর্মী জাতীয় সড়কের উপর দাঁড়িয়ে ছিলেন। ফলে তীব্র যানজট হয় এবং ভ্যাকসিনের কয়ভয় আটকে যায়।
আরও পড়ুন: পশ্চিমবঙ্গের মুসলমানরা সব থেকে বেশি গরিব এবং অশিক্ষিত: দিলীপ ঘোষ
যে কোনও ভ্যাকসিন পাঠানোর একটি নির্দিষ্ট সময় রয়েছে। তার মধ্যে সেটা না পৌঁছলে ভ্যাসকিনের কার্যকারিতা নষ্ট হয়ে যেতে পারে। এই ভেবে দুশ্চিন্তায় পড়ে যায় কনভয়ে উপস্থিত কর্মীরা। কিছুক্ষণের মধ্যেই পুলিসের হস্তক্ষেপে কনভয়কে অন্য পথে ঘুরিয়ে গন্তব্যের উদ্দেশে পাঠানো হয়। অভিরামপুরের রাস্তা দিয়ে বুদবুদের কাছে আবার জাতীয় সড়কে ওঠে কনভয়। হাঁফ ছেড়ে বাঁচেন কর্মীরা। এরপর কনভয় বাঁকুড়ার পথে রওনা দেয়।
আরও পড়ুন: তিন দিনের ইডি হেফাজতে ধৃত অ্যালকেমিস্ট কর্তা কেডি সিং
मंत्री सिद्दीकुल्लाह चौधरी ने अपने राजनीतिक पाखंड के चलते आज #CoronaVaccine का भी रास्ता रोक दिया। इस कारण वैक्सीन ले जा रहे वाहन को अन्य रास्ते से भेजा गया। ये बहुमूल्य वैक्सीन किसी दुर्घटना में या फिर किसी अन्य कारण से ख़राब हो जाती, तो इसका जिम्मेदार कौन होता!
जरा शर्म करो! https://t.co/ROT7Yboqq5
— Kailash Vijayvargiya (@KailashOnline) January 13, 2021
উল্লেখ্য, এ দিন সকাল থেকেই জমিয়তে উলেমায়ে হিন্দের কর্মীরা জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন। সেখানে মন্ত্রী এসে পৌঁছতে বেশ কিছুটা দেরি হয়। এরপর উত্তেজিত হয়ে ওঠেন অনুগামীরা। মন্ত্রী সকলকে বুঝিয়ে শান্ত করার চেষ্টা করলে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এক সময় লাঠি হাতে আলতো করে এক-দু ঘা দিতেও দেখা যায় মন্ত্রীকে। ঘটনার কথা জেনে কটাক্ষ করেছেন বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়। টুইট করে মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরীর সমালোচনা করেন তিনি।