পশ্চিমবঙ্গের মুসলমানরা সব থেকে বেশি গরিব এবং অশিক্ষিত: দিলীপ ঘোষ

“সিলিকন ভ্যালি বানিয়েছেন, দিদির সঙ্গে ফটো তুলেছেন। সেখানে এখন গরু, ছাগল চড়ে বেড়াচ্ছে। আমাদের এমন সিলিকন ভ্যালি চাই না। বাংলার ছেলেদের যেন বুড়ো বাবা-মাকে ছেড়ে না যেতে হয় আমরা সেই বাংলা চাই।”

পশ্চিমবঙ্গের মুসলমানরা সব থেকে বেশি গরিব এবং অশিক্ষিত: দিলীপ ঘোষ
ছবি - ফেসবুক
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 13, 2021 | 3:55 PM

টিটাগড়: উত্তর ২৪ পরগনার টিটাগড়ে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) চা-চক্র। সেখানে আরও একবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) ‘তোষণ রাজনীতি’ নিয়ে সরব দিলীপ ঘোষ। তাঁর দাবি, “পশ্চিমবঙ্গের মুসলমানরা দেশের মধ্যে সব থেকে গরিব এবং অশিক্ষিত”। সংখ্যালঘুদের এই অনুন্নয়নের জন্য তিনি দায়ী করেছেন রাজ্যের শাসকদলকেই। এমনকি এ দিন ভাতা বৈষম্য নিয়েও প্রশ্ন তোলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি। তাঁর অভিযোগ, “ইমামদের ২ হাজার টাকা আর পুরোহিতদের ১ হাজার টাকা কেন? পুরোহিতদেরও ২ হাজার টাকা দিন।” এখানেই শেষ নয়, তাঁর আরও বক্তব্য, “রাজ্যে তো ৮ হাজার নয় ৮০ হাজার পুরোহিত আছে, তাঁদেরও ভাতা দেওয়া হোক।”

বুধবার চা-চক্র থেকেই রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক-সহ সাংসদ সৌগত রায়কেও (Sougata Roy) কটাক্ষ করেন দিলীপ ঘোষ। সম্প্রতি দলবদলের ভবিষ্যদ্বাণী করে রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রীকে বলতে শোনা যায়, ৭ জন বিজেপি সাংসদ তৃণমূলে যোগ দেবেন। এ দিন সেই জল্পনায় জল ঢেলে দিলীপ ঘোষ বলেন, “৭ জন সাংসদ তো দূর, আমার ২ জন বুথ সভাপতিকেও নিয়ে যেতে পারবেন না।”

আরও পড়ুন: ‘দিলীপের মুখে আয়ুষ্মান, মনে স্বাস্থ্য সাথী’! ফিরহাদের কটাক্ষ

ইদানীং ধারাবাহিকভাবে বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে নিশানা করতে দেখা যাচ্ছে সৌগত রায়কে। যার প্রত্যুত্তরে রসিকতা করে দিলীপের জবাব, “উনি আমাকে খুব ভালবাসেন।”

এ দিন দিলীপ ঘোষ রাজ্যের শিল্পনীতি নিয়েও একহাত নিয়েছেন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রকে। তাঁর বক্তব্য, “সিলিকন ভ্যালি বানিয়েছেন, দিদির সঙ্গে ফটো তুলেছেন। সেখানে এখন গরু, ছাগল চড়ে বেড়াচ্ছে। আমাদের এমন সিলিকন ভ্যালি চাই না। বাংলার ছেলেদের যেন বুড়ো বাবা-মাকে ছেড়ে না যেতে হয় আমরা সেই বাংলা চাই।”

একই সঙ্গে এ দিন ভোটের আগে ‘বিজেপি পরিবার’-কে আরও বড় করার অঙ্গীকার করে গিয়েছেন দিলীপ ঘোষ। বিজেপি দেশের তো বটেই বিশ্বেরও সব থেকে বড় রাজনৈতিক দল। সবাইকে এই পরিবারে সামিল করা হবে। গণতন্ত্রে কাউকে না করা যায় না, তিনি ‘না’ করতেও পারবেন না। সবাইকে স্বাগত জানাবেন, তবে দল ঠিক করবে, কাকে কোন জায়গা দেওয়া হবে। সেই ‘বাছাবাছি’ দ্রুতই শুরু হবে বলেও টিটাগড়ের চা-চক্রে এসে জানান দিলীপ ঘোষ।