‘দিলীপের মুখে আয়ুষ্মান, মনে স্বাস্থ্য সাথী’! ফিরহাদের কটাক্ষ
দিলীপ ঘোষকে প্রকাশ্যেই একাধিকবার স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের সমালোচনায় বলতে শোনা গিয়েছে, "কার্ড তো সকলেই পাচ্ছেন টাকা ক'জন পেয়েছেন? আদৌ এই টাকা কেউই পাবেন না।"
কলকাতা: যুযুধান দুই পক্ষ। কেউ কাউকেই বাক্যবাণে বিদ্ধ করতে ছাড়েন না। বিবেকানন্দের জন্মদিনে সেই দিলীপ ঘোষকেই (Dilip Ghosh) ধন্যবাদ জানালেন রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। স্বাস্থ্য সাথী কার্ড করানোর জন্য দিলীপ ঘোষকে ধন্যবাদ জানান ফিরহাদ।
ফিরহাদ বলেন, “দিলীপবাবুকে অনেক ধন্যবাদ। ওঁ মুখেই আয়ুষ্মান আয়ুষ্মান করেন, মনে তাঁর স্বাস্থ্য সাথীই।” প্রসঙ্গত, যেই দিলীপ ঘোষের মুখে গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই বঙ্গবাসী শুনছিলেন রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্প বিষয়ে একাধিক বিরুদ্ধাচরণ, তাঁরই পরিবার রীতিমতো দুয়ারে সরকারের ক্যাম্পে দাঁড়িয়ে ফর্ম ফিলাপ করে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড নিলেন।
দিলীপ ঘোষকে প্রকাশ্যেই একাধিকবার স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের সমালোচনায় বলতে শোনা গিয়েছে, “কার্ড তো সকলেই পাচ্ছেন টাকা ক’জন পেয়েছেন? আদৌ এই টাকা কেউ পাবে না।” কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল অন্য চিত্র। তাঁরই পরিবারের সদস্যরা স্বাস্থ্য সাথী কার্ড নিলেন।
আরও পড়ুন: ‘ট্রাম্প বললেন বিবেকামুণ্ড, হিন্দু ধর্মের সবথেকে বড় ধারক-বাহক পাশে বসে হাততালি দিলেন’
ঝাড়গ্রামের গোপীবল্লভপুরের ২ নম্বর ব্লকের কুলিয়ানা গ্রামে দিলীপ ঘোষের পৈত্রিক বাড়ি। সেখানেই থাকেন তাঁর মা পুষ্পলতা ঘোষ, ছোটো ভাই হীরক ঘোষ ও কাকার ছেলে সুকেশ ঘোষের পরিবার। এ দিন দিলীপ ঘোষের পরিবারের সব সদস্যকেই গোপীবল্লভপুরের দুয়ারে সরকারের ক্যাম্পে লাইনে দাঁড়িয়ে কার্ড নিতে দেখা যায়। এই খবর ছড়িয়ে পড়ে দাবানলের মতো। প্রশ্ন উঠে, তবে কি দিলীপের কথায় ভরসা নেই তাঁদেরই পরিবারের সদস্যদের? এ দিন তাই কিছুটা হেঁয়ালির সুরেই ফিরহাদের মুখে উঠে এল সেই প্রসঙ্গ।