Shocking: অমানবিক! দড়ি দিয়ে হাত-পা বেঁধে ফেলে রাখা হল বাচ্চা ছেলেটাকে, তাও মাত্র ১৪০ টাকার জন্য
Kultali: হাজিরহাট এলাকায় একটি দোকান রয়েছে অমৃত কয়ালের। মাছের খাবার বিক্রির দোকান। ব্যবসায়ীর দাবি, তাঁর দোকানে সাম্প্রতিককালে একাধিকবার টাকা-পয়সার হিসেব মিলছিল না। তিনি যখন সকালে দোকান খোলেন, তখন ওই কিশোর দোকানের কাছেই একটি কলাগাছের কাছে লুকিয়ে থাকত।
কুলতলি: টাকা চুরির অপবাদে ১১ বছরের এক কিশোরের উপর মধ্যযুগীয় অত্যাচারের অভিযোগ। কিশোরকে দড়ি দিয়ে হাত-পা বেঁধে মাটিতে ফেলে রাখলেন এক ব্যবসায়ী। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলির গোপালগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। সেখানে হাজিরহাট এলাকায় অমৃত কয়াল নামে এক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে উঠল এই মারাত্মক অভিযোগ। শুক্রবার সকালের এই ঘটনায় হইচই পড়ে যায় এলাকায়। ঘটনার খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে গ্রামে যায় কুলতলি থানার পুলিশ এবং ওই কিশোরকে উদ্ধার করে। শেষ পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী ওই ব্যবসায়ীকে আটক করেছে পুলিশ।
জানা যাচ্ছে, হাজিরহাট এলাকায় একটি দোকান রয়েছে অমৃত কয়ালের। মাছের খাবার বিক্রির দোকান। ব্যবসায়ীর দাবি, তাঁর দোকানে সাম্প্রতিককালে একাধিকবার টাকা-পয়সার হিসেব মিলছিল না। তিনি যখন সকালে দোকান খোলেন, তখন ওই কিশোর দোকানের কাছেই একটি কলাগাছের কাছে লুকিয়ে থাকত। তাঁর সন্দেহ হত, ওই কিশোরই এই কাণ্ড ঘটাত। মাঝে কয়েকবার এরকম হওয়ার পর একদিন ওই কিশোরকে দোকানের সামনে থেকে পালাতে দেখে, ছুটে গিয়ে ধরা হয়। সেদিন কিশোরের থেকে ৬০০ টাকা পাওয়া গিয়েছিল বলে দাবি ব্যবসায়ীর।
এরপর আজ আবার ওই কিশোর দোকান থেকে টাকা চুরি করে পালাচ্ছিল বলে অভিযোগ দোকানদার অমৃত কয়ালের। তাঁর দাবি, আজ তাঁর দোকান খোলার সময় সকালে ১৪০ টাকা রাখা ছিল। এরপর ওই কিশোরকে ধরে ফেলেন তিনি এবং হাত-পা বেঁধে লোকজন ডাকতে যান।
এদিকে ওই ঘটনার খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে গ্রামে পৌঁছে যায় কুলতলি থানার পুলিশ। শিশুটিকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য কুলতলি ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়। ঠিক কী ঘটেছিল, তা জানতে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।