Bangladesh: বাংলাদেশ থেকে ‘ওঁদের’ ফেরাতে এবার উদ্যোগ নিচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, দ্রুতই ভারতে ঢুকবেন সকলে
Mamata Banerjee: এ দিকে, এই ঘটনার পর অসহায় অবস্থার মধ্যে পড়ে যায় মৎস্যজীবীদের পরিবারগুলি। বারবার পরিবারগুলির সদস্যরা রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন করেছিল যাতে তাঁদের ফিরিয়ে আনা যায়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিষয়টি জানার পরই তাঁদের ভারতে ফিরিয়ে আনার জন্য তৎপর হন।
কাকদ্বীপ: মাছ ধরতে গিয়েছিলেন সমুদ্রে। তবে কোনওভাবে ভারতের জলসীমা পেরিয়ে প্রবেশ করেছিলেন বাংলাদেশে। তারপরই বিপত্তি। ট্রলার সমেত পঁচানব্বই জন মৎস্যজীবীকে গ্রেফতার করে সে দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী। তবে দু’মাস কেটে গেলেও ছাড় পাননি ওই সকল মৎস্যজীবীরা। এবার তাঁদেরই ফেরাতে উদ্যোগ নিল রাজ্য সরকার। শীঘ্রই গ্রেফতার হওয়া ভারতীয় মৎস্যজীবীদের দেশে ফেরানো হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এ দিকে, মৎস্যজীবীরা পড়শি দেশে গ্রেফতার হতেই অসহায় অবস্থার মধ্যে পড়ে তাঁদের পরিবারগুলি। তার উপরে বর্তমান পরিস্থিতিও ভাল নয়। সেদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর অত্যাচারের খবর প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই প্রভাব পড়তে শুরু করেছে এ রাজ্যেও। ফলে আরও চিন্তায় অসহায় পরিবারগুলি। বারবার পরিবারগুলির সদস্যরা রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন করেছিল যাতে তাঁদের ফিরিয়ে আনা যায়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিষয়টি জানার পরই তাঁদের ভারতে ফিরিয়ে আনার জন্য তৎপর হন। কেন্দ্র সরকারেরও দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। বাংলাদেশে আটক মৎস্যজীবীর পরিবারের সদস্য ননি দাস বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীকে আমরা ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আমাদের যদি পরিবারের সদস্যরা যদি ফিরে আসে তাহলে উপকার হয়। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে এই উদ্যোগ নিয়েছেন এতেই স্বস্তি।”
এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রীর দফতর থেকে কাকদ্বীপের বিধায়ক মন্টুরাম পাখিরাকে ফোন করা হয়। বাংলাদেশে আটকে থাকা মৎস্যজীবীদের পরিবারের সদস্যরা কেমন রয়েছেন, সেই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী খোঁজ খবর নেন। তৃণমূল বিধায়ক বলেন,”মুখ্যমন্ত্রীর দফতর থেকে ফোন এসেছিল। অসহায় মৎস্যজীবীর পরিবারের সদস্যরা কেমন রয়েছেন তা জানতে চেয়েছেন তিনি। শীঘ্রই বাংলাদেশ থেকে ভারতীয় মৎস্যজীবীদের ফিরিয়ে আনা হবে বলেও জানিয়েছেন।” অপরদিকে ভারতে আটকে থাকা বাংলাদেশের মৎস্যজীবীদেরও দেশে ফেরানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’ কবে ঘরে ফিরবে আটক মৎস্যজীবীরা, সেদিকেই এখন তাকিয়ে পরিবারের সদস্যরা।